উইসকনসিন রাজ্যের ভোটও পুনরায় গণনার দাবি ট্রাম্পের ৷ অ্যারিজোনার পর এবার উইসকনসিন রাজ্যের ভোটও পুনরায় গণনা করার দাবি জানানো হয়েছে ট্রাম্প শিবির থেকে। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে সরাসরি এখনও এ দাবি না জানালেও নির্বাচনী প্রচারণায় তার ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত বিল স্টিপেন ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে এ দাবি জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
বুধবার (৪ নভেম্বর) শুরু থেকেই ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বলে পরিচিত উইসকনসিন এ এগিয়ে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভোট গণনার হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যটিতে আধিক্য পেতে শুরু করেন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন।
যদিও রাজ্যটিতে ভোট গণনার এখনও প্রায় ৫ শতাংশ বেশি এবং আনুষ্ঠানিক কোনো ফলাফল এখনও রাজ্যটির পক্ষ থেকে করা হয়নি। তবুও এখন পর্যন্ত ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন বাইডেন।
শেষ মুহূর্তে খেলা পালটাতে পারেন ট্রাম্প!
আর ট্রাম্পের দখলে আছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। রাজ্যটিতে সর্বশেষ যিনি বিজয়ী হবেন তার খাতায় যোগ হবে ১০টি ইলেকটোরাল ভোট।
এ ভোট হারানোর ভয়েই হয়তো পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানানো হয়েছে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে। কাতার ভিত্তিক আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার ম্যানেজার বিল স্টিপেন বলেন, উইসকনসিন রাজ্যের বেশ কয়েকটি কাউন্টিতে ভোট গণনায় অস্বাভাবিকতা দেখা দিয়েছে যেগুলো ফলাফলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) পুনরায় ভোট গণনার অনুরোধ জানানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত আছেন এবং আমরা খুব দ্রুতই এটি করব।
এর আগে অ্যারিজোনা রাজ্যেও পুনরায় ভোট গণনার সরাসরি দাবি জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১১ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট থাকা রাজ্যটিতে বিজয়ী হয়েছেন জো বাইডেন।
তবে উইসকনসিন রাজ্যের মতো চিত্রপট পালটে গেছে মিশিগানেও। ১৬ ইলেকটোরাল ভোট থাকা রাজ্যটিতে শুরু থেকে এগিয়ে থাকা ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন জো বাইডেন। ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন বাইডেন। ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। রাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৬ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্ধারণে যেসব অঙ্গরাজ্যের ফলাফল মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে তার মধ্যে অন্যতম উইসকনসিন, মিশিগান এবং অ্যারিজোনা। ইতোমধ্যে ৩ নভেম্বরের পর গণনায় আসা সব ভোটের বিরুদ্ধে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।