কালো চুলের চেয়ে অন্যান্য রঙে রাঙানো চুলই এখন বেশি জনপ্রিয় সবার কাছে। ব্রাউন বা বার্গান্ডির শেড তো আছেই, এর পাশাপাশি লেটেস্ট ট্রেন্ডের সঙ্গে পা মেলাতে পার্পল, পিঙ্ক বা নীলের শেডেও চুল রাঙিয়ে নিতে চান অনেকেই। কম বয়সী থেকে মাঝ বয়স, মহিলা-পুরুষ সবাই চুল রঙ করার দিকে ঝুঁকছেন।
এই স্টাইল করতে গিয়ে নিজেদের চুলের মারাত্মক ক্ষতি করছেন ভেবে দেখেছেন কি? চুল রঙ করতে ব্লিচ করান অনেকে।ব্লিচ হল চুলের ন্যাচারাল রং নষ্ট করে দেয়া। ব্লিচ করলে চুলের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক চুলের কী কী ক্ষতি হতে পারে-
মাথার ত্বকের ক্ষতি করে
ব্লিচ করতে খুব বেশি সময় না লাগলেও, অল্প সময়ের মধ্যেই মাথার ত্বকের ক্ষতি করে এর রাসায়নিক। মাথার ত্বকে জ্বালা হতে পারে। ব্লিচ লাগানোর পর যদি জ্বালা শুরু হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলুন। অনেক সময়ে ব্লিচ হয়ে যাওয়ার পর সমস্যা দেখা দেয়। লাল হয়ে যাওয়া, ফুসকুড়ি বের হতে পারে। চুলে ব্লিচ করার আরেকটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হল, বর্ণহীন চুল।
চুলের মারাত্মক ক্ষতি করে
ব্লিচ করার পর চুল আরও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ইউভি রশ্মি, ধুলা-ময়লা, হাওয়া, অতিরিক্ত তেল চুল সহজে খারাপ করে দেয়। চুলের গোড়া আলগা হয়ে যাওয়া, চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায়। চুলের বৃদ্ধি হ্রাস পায়।
আর্দ্রতা হারায়
চুল চুলে একবার ব্লিচ করলে চুল তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। সেইসঙ্গে প্রোটিনের ভারসাম্য বজায় থাকে না। ফলে চুল নষ্ট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
সুস্থ থাকতে শীতে যেসব খাবার খাবেন
অনিদ্রা দূর করবে ঘি, জেনে নিন ব্যবহারবিধি
চুল শুষ্ক হয়ে যায়
চুলে অক্সিডেশন করা হয় ব্লিচ করার সময়। যার ফলে চুল ভীষণ রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে, প্রাণহীন লাগে।
ব্লিচ করার পর চুলের ক্ষতি এড়াতে যা করবেন
> ব্লিচ করার পর চুলের অনেক বেশি পরিচর্যা দরকার হয়। চুলের পরিচর্যা না করলে সহজে চুল নষ্ট হয়ে যাবে। যার ফল চুল পড়া, চুল ভেঙে যাওয়া, পাতলা চুল।
> চুল হাইড্রেট রাখতে নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন। অলিভ ওয়েল, নারকেল তেল, আমন্ড তেল চুলে লাগালে চুল হাইড্রেট থাকবে।
> ভাতের মাড় দিয়ে চুল ধুতে পারেন। চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেলে প্রতিদিন মাড় দিয়ে চুল ধুতে পারেন।
> বড় দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করুন।
> অ্যালোভেরা ত্বক ও চুলের ক্ষতি আটকাতে পারে। চুল ও মাথার ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগান।