চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় মা-বোনের শ্লীলতাহানিতে কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল খানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) হেলালকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর আগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। ঘটনার সময় তিনি নগরের ডবলমুরিং থানায় কর্মরত ছিলেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক।
তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। সেখানে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলাল খান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েছে সাদা পোশাকে সোর্স নিয়ে ওই কিশোরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তদন্ত কমিটির কাছে হেলাল এ বিষয়ে সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই রাতে সাদা পোশাকে দুই সোর্স নিয়ে আগ্রাবাদ বাদামতলী বড় মসজিদ গলিতে যান এসআই হেলাল খান। সেখানে দশম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোর সালমান ইসলাম ওরফে মারুফের সঙ্গে সোর্সসহ পুলিশ কর্মকর্তার কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। এর মধ্যে সালমানের মা-বোনের সঙ্গেও পুলিশ ও সোর্সরা ধস্তাধস্তি শুরু করেন। এতে সালমানের বোন অচেতন হয়ে পড়েন।
এ সময় তারা সালমানের বোন ও মাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এতে সালমানের ধারণা হয়, পুলিশ তার মা ও বোনকে থানায় নিয়ে গেছে। পরিবারের অভিযোগ, এতে ক্ষোভে সালমান বাসায় আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনার পর চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) মনজুর মোরশেদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন।