আজ বুধবার (২১ অক্টোবর), গত বছরের এই দিনে নিজেদের অধিকার আদায়ে একাট্টা হন দেশের সব ক্রিকেটাররা। বিসিবি আলোচনায় বসে ক্রিকেটারদের সঙ্গে। প্রাথমিক পর্যায়ে মেনে নেয়া হয় বেশির ভাগ দাবি। তবে ক্রিকেটাররা বলছেন, যে উদ্দেশ্যে তারা নেমেছিলেন আন্দোলনে, বছর পার হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি অনেক ক্ষেত্রেই।
প্রথমে ১১ পরে ১৩। দফা বেড়েছে, বেড়েছে আন্দোলনের তীব্রতা। পরে বাধ্য হয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবি করেছে সমঝোতা। মেনে নিয়েছিল ৯ দাবিই। কিন্তু আদতে বাস্তবায়ন হয়েছে কয়টা?
আবার করোনার হানা মাশরাফির পরিবারে
নজর দেয়া যাক সেই ১৩ দফায় কী ছিল? প্রথম দাবি ছিল কোয়াবের দায়িত্বপ্রাপ্তদের পদত্যাগ। এরপর প্লেয়ার বাই চয়েস, বিপিএলে দেশি-বিদেশিদের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য দূর, ম্যাচ ফি বৃদ্ধি, সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়ানো, ক্যালেন্ডারের বাস্তবায়ন ছাড়াও ছিল লভ্যাংশের দাবি। এর মধ্যে ১, ১১, ১২ আর ১৩ নম্বর দাবি ছাড়া সবই মেনে নেয় ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু করোনার থাবায় হয়নি সবকিছুর বাস্তবায়ন।
ক্রিকেটাররা বলছেন, যে লক্ষ্য নিয়ে ছিল তাদের আন্দোলন তাতে সফলতা থাকলেও এখনও হয়নি স্বপ্নপূরণ।
ক্রিকেটার নাঈম ইসলাম বলেন, আমরা যেসব দাবি করেছিলাম সব যৌক্তিক ছিল। চিন্তাভাবনা করেই দাবি তুলেছিলাম আমরা। সেগুলো বাস্তবায়ন হবে শিগগির আশা করছি।
আরেক ক্রিকেটার আরিফুল ইসলাম বলেন, করোনা আসার পর সব থমকে গেছে। অনেকেই আর্থিক সংকটে আছে। ক্রিকেটটাও ধারাবাহিকভাবে মাঠে নেই। খেলোয়াড়রা আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
করোনাকাল চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে পুলের বাইরে থাকা কিংবা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের আর্থিক নিশ্চয়তা ঠিক কতখানি প্রয়োজন। তাইতো শুধু আশ্বাসে নয়, বরং এই মহামারি শেষে হলে তারা চান দাবিগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন। ভয় আছে শেষ পর্যন্ত আবার না সবই হয় শুভঙ্করের ফাঁকি।
কামরুল ইসলাম রাব্বি জানান, ‘বেশকিছু দাবি পূরণ করা হয়েছে। তবে আরও কিছু বাকি আছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের দিকে তাকিয়ে অন্তত বাকিগুলো মেনে নেয়া উচিত।’
১৩টি দাবি মধ্যে ৯টি মেনেছে ক্রিকেট বোর্ড। তবে, বাকি ৪টি দাবি পুনর্বিবেচনার জন্য, বিসিবির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আন্দোলন করা ক্রিকেটাররা।