গোসাইরহাটে ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন, উপজেলা প্রশাসন নিরব
এস,এম,স্বাধীন/শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না, এমন সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের পাজাল কান্দি গ্রামের গাইমারাচরে ফসলি কৃষি জমিগুলোকে পরিণত করা হচ্ছে গভীর পুকুরে। এতে করে উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ।
এক শ্রেণির পুকুর ব্যবসায়ীরা কৃষকদের ফসলি জমিতে পুকুর খননের লোভনীয় প্রস্তাব দিচ্ছেন। উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষি জমিতে মেশিন দিয়ে ৮ ফুট গভীর করে জমির চারদিকে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের এই মহোৎসব চলছে। কৃষকরা না বুঝে হারাচ্ছেন তাদের উর্বর ফসলি জমি, অন্যদিকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন এক শ্রেণির প্রভাবশালী পুকুর ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন রয়েছে নিরব।
জানা গেছে, শ্রেণি ভেদে প্রায় সকল জমিতেই সারা বছর কোনও না কোনও ধরণের ফসল হয়। কিন্তু কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি এবং উৎপাদিত ধানের যথাযথ মূল্য না পাওয়ায় প্রতি বিঘা জমি টাকার বিনিময়ে ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদের চুক্তি করছে কৃষকরা। চুক্তির আওতায় নিয়ে তাদের ফসলি জমি পুকুরে পরিণত করছেন নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর এলাকার খলিল কাজী। আর এভাবে চলতে থাকলে এক সময় খাদ্য শস্য সংকটে পরতে হবে এলাকার মানুষের।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসাইন বলেন, আলাওলপুর ইউনিয়নের পাজাল কান্দী গাইমারাচরে কৃষি জমি কেটে মাছের ঘেড় কারার অভিযোগ আমি পেয়েছি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।