রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে প্রতারক সাহেদ করিমকে ঢাকা থেকে শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে।
চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় এক ব্যবসায়ীর করা ৯১ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের মামলায় আগামীকাল রোববার তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের শুনানি রয়েছে।
ধর্ষণবিরোধী ভাইরাল ছবির পেছনের গল্প
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সাহেদকে রোববার আদালতে হাজির করা হবে।
নগরের ডবলমুরিং থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাহেদকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে আদালতে। আদালত রোববার দিন ধার্য রেখেছেন। গ্রেফতার দেখানোর পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হতে পারে।
গত ১৩ জুলাই চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করেন মো. সাইফুদ্দিন মহসীন। তাদের প্রতিষ্ঠান গাড়ির টায়ার ও যন্ত্রাংশ আমদানির মাধ্যমে দেশে বাজারজাত করে। সাহেদের বিরুদ্ধে নগদ ৩২ লাখ এবং চেকের মাধ্যমে ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়। ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে মো. সাহেদ টাকাগুলো হাতিয়ে নেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী মেসার্স মেগা মোটরসের মালিক জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের পক্ষে তার চাচাতো ভাই মো. সাইফুদ্দিন মহসীন। সাইফুদ্দিনও এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা দেখভাল করেন। প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানাধীন ধনিয়ালাপাড়ায়। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায়।
মো. সাইফুদ্দিন মহসীন জানান, তাদের ঢাকার ব্যবসায়িক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শহীদুল্লাহর মাধ্যমে মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের সঙ্গে ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ফেনীর ছাগলনাইয়ায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিচয় হয়। সেখানে নানা ধরনের ব্যবসায়িক কাজের জটিলতা খুলে দিতে পারবেন বলে সাহেদ প্রতিশ্রুতি দেন। এ রকম একটি কাজ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেদিন থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন সাহেদ।
পুলিশ সূত্র জানা গেছে, রাজধানীতে ২০০টি তিন চাকার গাড়ি নামানোর অনুমোদন সরকার থেকে নিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মো. সাহেদ। একটি অনুমোদনও নিয়ে দেন সাহেদ, যা ছিল ভুয়া। এরপর টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সাহেদকে চাপ দেয়া হয়। সাহেদ প্রভাব খাটিয়ে উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এ কারণে মেসার্স মেগা মোটরসের মালিকপক্ষ পিছু হটে।
গত ৬ জুলাই বিভিন্ন অনিয়মের কারণে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। এরপর সাহেদ পালিয়ে যান। গত ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।