আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর পূর্বাভাস আগামী দিনে, ভারতের মাথাপিছু জিডিপি বাংলাদেশের চেয়েও কম হতে পারে। মঙ্গলবারই আইএমএফ তার পূর্বাভাসে বলেছে যে চলতি বছরে ভারতের জিডিপি ১০.৩ শতাংশ সংকুচিত হবে। চলতি বছরে মাথাপিছু জিডিপি ভারতের চেয়ে বেশি হবে প্রতিবেশি বাংলাদেশের। আইএমএফ’এর অনুমান ২০২০ সালে ভারতে মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ১৮৭৭ মার্কিন ডলার।। অন্যদিকে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ৪ শতাংশ বেড়ে হবে ১৮৮৮ ডলার।
তবে আইএমএফ আরও জানিয়েছে, আগামী বছর ঘুরে দাঁড়াবে ভারতীয় অর্থনীতি। আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৮ শতাংশ হতে পারে। চীনের সম্ভাব্য জিডিপি বৃদ্ধির হারকেও ছাপিয়ে যেতে পারে ভারত। একইভাবে বিশ্ব অর্থনীতি এবছর ৪.৪ শতাংশ হারে সংকুচিত হবে ও আগামী বছর ৫.২ শতাংশ হারে বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের কাছে ভারতের এই পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কার খবর সামনে আসতেই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভ্রান্ত নীতিকেই দায়ী করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার টুইট করে রাহুল লেখেন, ‘গত ৬ বছরের বিজেপির বিদ্বেষমূলক জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতির অভূতপূর্ব সাফল্য হল এটা যে, বাংলাদেশ ভারতকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে।’ এই সম্পর্কিত একটি গ্রাফও টুইট করেছেন তিনি।
অপরদিকে কেন্দ্রকে নিশানা করতে ছাড়েননি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জির ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জিও। বুধবার কটাক্ষের সুরে তিনি টুইট করে লিখেছেন, ভারতীয় অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। এমনকি বাংলাদেশও মাথাপিছু জিডিপিতে আমাদের ছাড়িয়ে যেতে চলেছে। এটা ওদের (বাংলাদেশ) পুনরুত্থান নয়, বরং আমাদের (ভারত) বিশাল পতন। এটাই হল নরেন্দ্র মোদিজির ৫ ট্রিলিয়নের স্বপ্ন।