ঠাকুরগাঁওয়ে সাপেড় কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
আব্দুল্লাহ আজাদ/ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সাপেড় কামড়ে সাইদুর রহমান (১২) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
আজ সোমবার (২১ আগস্ট) ভোররাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্কুলছাত্রের বাবার দাবি, ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেলে হাসপাতালে ‘অ্যান্টিভেনম’ না থাকার কারণেই তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ‘অ্যান্টিভেনম’ থাকলে তার ছেলেকে হারাতে হতো না বলে মনে করেন তিনি।
মৃত সাইদুর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের বেলবাড়ী মন্নাপাড়া গ্রামের আবু হানিফের ছেলে ও বেলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
স্কুল ছাত্রের বাবা আবু হানিফ বলেন, গতকাল রবিবার (২০ আগস্ট) রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার বড় ছেলে সাইদুর রহমানকে সাপড়ে কামড় দিলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে ‘অ্যান্টিভেনম’না থাকায় ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এরপরে সেখানে রাত ৩টায় পৌছালে ১০টি ‘অ্যান্টিভেনম’ ইনকেজশন ছেলের শরীরে পুষ করে চিকিৎসক। এরপরে ৪০ মিনিটের মধ্যে আরও ১০টি ‘অ্যান্টিভেনম’ ইনজেকশনের ব্যবস্থা করতে বলেন চিকিৎসক।
‘অ্যান্টিভেনম’ জোগাড় করতে ব্যর্থ হলে স্কুলছাত্রকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ঠাকুরগাঁও থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় বীরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজ হাটে ছেলেটির নড়াচড়া বন্ধ করে দেয়। এরপরে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন’।
সোমবার দুপুরে স্কুলছাত্রের বাবা আবু হানিফ ও স্থানীয়রা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ তুলেন, জেলা শহরের এত বড় হাসপাতালে ১০টির বেশি ‘অ্যান্টিভেনম’ ইনজেকশন নেই। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ‘অ্যান্টিভেনম’ না থাকার কারণেই তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। কারণ ৪০ মিনিটের মধ্যে কোন ভাবেই রংপুরে পৌছানো সম্ভব ছিল না।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা: নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন , সম্প্রতি জেলায় সাপেড় কামড় দেওয়ার ঘটনা বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় ‘অ্যান্টিভেনম’ বরাদ্দ পাচ্ছে না হাসপাতালগুলো। দ্রুত ‘অ্যান্টিভেনম’ ইনজেকশনের ব্যবস্থার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে বলার পাশাপাশি কেন বাচ্চাটির মৃত্যু হলো তাঁর খোজ খবর নেওয়ার কথা বলেন তিনি।