রাজধানীতে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডেঙ্গু। এখন গড়ে দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছেন আড়াই শতাধিক। একদিকে কোভিড রোগীর সংখ্যা কমলেও হাসপাতালগুলোতে এখন ডেঙ্গু রোগীতে পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গু শনাক্ত হলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি। অথচ অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা বাসাতেই সম্ভব। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সোরোটাইপ থ্রি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় শিশুদের অবস্থা দ্রুতই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তবে বয়স্করা কম খারাপ হচ্ছেন। শিশুরা মারাত্মক হয়ে যাচ্ছে দ্রুত।
তবে নিচের যে কোনো একটি বিপদ চিহ্ন থাকলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
১. প্রচণ্ড পেট ব্যথা ও অত্যধিক পানি পিপাসা থাকলে।
২. ঘন ঘন বমি বা বমি বন্ধ না হলে।
৩. রক্তবমি বা কালো পায়খানা হলে।
৪. দাঁতের মাড়ি বা নাক দিয়ে রক্তপাত হলে।
৫. ৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে প্রস্রাব না হলে।
৬. প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হলে।
৭. ডায়রিয়া হলে এবং অত্যধিক শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করলে।
৮. অন্তঃসত্ত্বা মা, নবজাতক শিশু, বয়স্ক রোগী, ডায়বেটিস ও কিডনি রোগ থাকলে।
৯. শরীর অস্বাভাবিক ঠান্ডা হয়ে গেলে।
এ ছাড়া আপনার চিকিৎসক যদি আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে বলে সেক্ষেত্রে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হবেন।
যদি ওপরের কোনো বিপদ চিহ্ন না থাকে এবং রোগী মুখে পর্যাপ্ত তরল খাবার খেতে পারে সেক্ষেত্রে রোগীকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।
কী চিকিৎসা দেবেন?
রোগী পূর্ণ বিশ্রামে থাকবে,
স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার যেমন, খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি, ফলের রস, ভাতের মাড়, স্যুপ খেতে দিতে হবে।
প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ব্যথার ওষুধ দেওয়া যাবে না।
জ্বর কমাতে কুসুম গরম পানি দিয়ে সারা শরীর মুছে দেবেন।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।