ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চট্টগ্রামের কারখানার ভয়াবহ আগুন ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে! Logo চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন নেভাতে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা Logo পানছড়ির মধ্যনগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ও অনুভূতিহীন কর্তৃপক্ষ Logo চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাঁচ কলেজে পাস করেনি কেউ! Logo গরমছড়িতে জমি দখল নিয়ে তাণ্ডব, ফটিকছড়িতে বসতবাড়িতে হামলা! Logo চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের Logo এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের সংখ্যায় বিপর্যয় — মাত্র ৩৪৫ প্রতিষ্ঠান Logo কিশোরগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাট Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনী-১

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ১১:০৩:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১১৮১ বার পড়া হয়েছে

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনী-১

মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ

বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম। এলাকাটি বাংলাদেশের অন্য ৬১টি জেলার চেয়ে ভিন্ন প্রকৃতির। এলাকা গুলোতে ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন’ মূলমন্ত্রকে সামনে নিয়ে সরকারের পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরীহ পার্বত্য জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী।

নিরীহ পার্বত্য জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও রক্ষায়
দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বুকের রক্ত দিয়েছে এবং জীবন দিয়েছে শত শত সেনাবাহিনী। খালি হয়েছে শত শত মায়ের বুক। দেশের স্বাধীনতা ও ভূখন্ডের অখন্ডতা রক্ষা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য বদ্ধপরিকর।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কার্যক্রম, খাদ্য সমস্যা নিরসন, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা, দরিদ্র ব্যক্তিদের স্বাবলম্বী হতে সহযোগিতা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দুর্গম এলাকায় পানির কষ্ট লাঘবে সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং বেকার ব্যক্তিবর্গের কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র কারখানা স্থাপন করে আসছে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী।

পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে রচিত। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে পাহাড়ি-বাঙালি সম্পর্ককে অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে বিভিন্ন মহলে উত্থাপন করার অপপ্রয়াস চালায়। সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সময়ের আবর্তে নানাবিধ কারণে অনেকটা বিনষ্ট হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে সেনাবাহিনী নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করছে, যা পাহাড়ি-বাঙালিদের সম্পর্ক উন্নয়নে প্রভূত সফলতা বয়ে নিয়ে এসেছে। যেমন- জাতীয় সকল দিবসে সেনাবাহিনী এবং জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে পাহাড়ি-বাঙালিদের মিলনমেলার আয়োজন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিরাপত্তার সঙ্গে পালনে সহায়তা, সেনাবাহিনী কর্মকর্তাদের উপস্থিতি এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পাহাড়ি-বাঙালিদের আমন্ত্রণ, যা সার্বিকভাবে পাহাড়ি-বাঙালি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গঠনে ভূমিকা রাখে। চলবে…।

ট্যাগস :

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনী-১

আপডেট সময় : ১১:০৩:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়নে সেনাবাহিনী-১

মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ

বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম। এলাকাটি বাংলাদেশের অন্য ৬১টি জেলার চেয়ে ভিন্ন প্রকৃতির। এলাকা গুলোতে ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন’ মূলমন্ত্রকে সামনে নিয়ে সরকারের পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরীহ পার্বত্য জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী।

নিরীহ পার্বত্য জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও রক্ষায়
দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বুকের রক্ত দিয়েছে এবং জীবন দিয়েছে শত শত সেনাবাহিনী। খালি হয়েছে শত শত মায়ের বুক। দেশের স্বাধীনতা ও ভূখন্ডের অখন্ডতা রক্ষা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য বদ্ধপরিকর।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কার্যক্রম, খাদ্য সমস্যা নিরসন, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা, দরিদ্র ব্যক্তিদের স্বাবলম্বী হতে সহযোগিতা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দুর্গম এলাকায় পানির কষ্ট লাঘবে সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং বেকার ব্যক্তিবর্গের কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র কারখানা স্থাপন করে আসছে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী।

পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে রচিত। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে পাহাড়ি-বাঙালি সম্পর্ককে অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে বিভিন্ন মহলে উত্থাপন করার অপপ্রয়াস চালায়। সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সময়ের আবর্তে নানাবিধ কারণে অনেকটা বিনষ্ট হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে সেনাবাহিনী নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করছে, যা পাহাড়ি-বাঙালিদের সম্পর্ক উন্নয়নে প্রভূত সফলতা বয়ে নিয়ে এসেছে। যেমন- জাতীয় সকল দিবসে সেনাবাহিনী এবং জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে পাহাড়ি-বাঙালিদের মিলনমেলার আয়োজন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিরাপত্তার সঙ্গে পালনে সহায়তা, সেনাবাহিনী কর্মকর্তাদের উপস্থিতি এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পাহাড়ি-বাঙালিদের আমন্ত্রণ, যা সার্বিকভাবে পাহাড়ি-বাঙালি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গঠনে ভূমিকা রাখে। চলবে…।