এই মুহুর্তে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা দীপিকা পাডুকোন। মাদককাণ্ডে নাম জড়িয়ে ব্যাকফুটে থাকা দীপিকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও চর্চার যেন শেষ নেই। তার জীবনে বসন্ত হয়ে কখনো এসেছেন রণবীর কাপুর আবার কখনো শিল্পপতি বিজয় মাল্যর ছেলে সিদ্ধার্থ মাল্য। তবে শেষে ২০১৮ সালে রণবীর সিং এর গলাতেই মালা দেন তিনি।
কিন্তু দীপিকার প্রাক্তনের মধ্যেই একজন, মিডিয়ার সামনে সেই অভিনেত্রীকে বলেছিলেন ‘ক্রেজি ফিমেল’ বা ‘অদ্ভুত মহিলা’। তবে ওই প্রাক্তন রণবীর কাপুর নন, তিনি সিদ্ধার্থ মাল্য। যে সিদ্ধার্থের সঙ্গেই এক সময় রগরগে প্রেম ছিল দীপিকার। রণবীর কাপুরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই দীপিকার জীবনে টাটকা বাতাসের মতো এসেছিলেন সিদ্ধার্থ। এক সঙ্গে ডিনার ডেট থেকে আইপিএল ভিআইপি স্ট্যান্ডে আচমকাই দীপিকাকে জড়িয়ে ধরে সিদ্ধার্থের চুম্বন; পাপারাৎজির নজর এড়ায়নি।
এই ‘লাভি ডাভি’ জুটির সম্পর্কের শেষটা কিন্তু ছিল তিক্ততায় ভরা। মুম্বাইয়ের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় দীপিকা আঙুল তুলেছিলেন সিদ্ধার্থের দিকেই। এক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায় দীপিকা বলেছিলেন, যত দিন যাচ্ছিল, ততই বদলে যাচ্ছিলেন সিদ্ধার্থ। হচ্ছিল মতের অমিল। তার কথায়, রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলাম। খাওয়া দাওয়ার পর সিদ্ধার্থ আমায় হঠাৎই টাকা মেটাতে বলে। ব্যস। ওই দিনই শেষ। সম্পর্ক ছিন্ন করে বেরিয়ে আসি আমি।
যদিও সমানাধিকার নিয়ে বারেবারেই কথা তুলেন দীপিকা। এরপরেই কেন এমনটা বলেছিলেন তা নিয়েও হয়েছিল বিতর্ক।
চুপ থাকেননি সিদ্ধার্থও। দীপিকার ওই মন্তব্যে পর তিনি পাল্টা বলেছিলেন, তার যে আদপে কী খামতি ছিল, তা কোনোদিনই বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। তার কথায়, আমি বলেছিলাম বাবার যাবতীয় ঋণের বোঝা মিটে গেলে ওর সব টাকা আমি ফিরিয়ে দেব, কিন্তু ও সম্পর্কে থাকতে রাজিই ছিল না।
সিদ্ধার্থ আরো বলেন, দীপিকা হয়তো ভুলেই গিয়েছিল এক সময় আমিই ওকে হীরের দামি গয়না, দামি ব্যাগ কিনেদিয়েছিলাম। ওর বন্ধুদের জন্য পার্টি, ফরেন ট্রিপ! কিছুই কি মনে নেই ওর?