DoinikAstha Epaper Version
ঢাকামঙ্গলবার ২৬শে নভেম্বর ২০২৪
ঢাকামঙ্গলবার ২৬শে নভেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

বশেমুরবিপ্রবির দুই সাংবাদিককে হয়রানি, থানায় জিডি

News Editor
নভেম্বর ৬, ২০২০ ১০:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর দুই সাংবাদিককে হয়রানির অভিযোগে বশেমুরবিপ্রবির দুই শিক্ষক ও এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন দৈনিক সমকালের বশেমুরবিপ্রবির প্রতিনিধি তারিক লিটু।

দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি তারিক লিটুর থানায় দায়েরকৃত সাধারন ডায়েরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক গোলাম হায়দারসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

সংসদ লেকে ভাসানো দুই গয়না নৌকার ব্যয় ৪০ লাখ টাকা

জিডিতে অভিযোগ করা হয়েছে, বিলম্ব তালিকা থেকে ফাঁকা আসনে ভর্তির দাবিতে ৮ শিক্ষার্থী ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের গেটের সামনে আমরণ অনশন শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে গত ২৯ অক্টোবর রাতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা অনশন প্রত্যাহার করে নেয়। বিলম্ব তালিকা থেকে ফাঁকা আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে জানতে চেয়ে ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও দৈনিক শিরোমণি পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফয়সাল জামানকে তদন্ত কমিটিতে তলব করা হয়।

ফয়সাল জামান ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে আসার পথে পথিমধ্যে দাদার মুত্যুর সংবাদ জানতে পারেন। পরে তিনি বিষয়টি তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে ফোনে জানায়। তারপরও তদন্ত কমিটি তাকে তদন্ত বোর্ডে হাজির হতে বলে। তিনি তদন্ত বোর্ডের মুখোমুখি হওয়ায় দাদার জানাজায় অংশ নিতে পারেননি। এ ঘটনায় মর্মাহত হয়ে ফয়সাল জামান ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পোস্টে ফয়সাল লিখেছিলেন, এমন নির্যাতনে মরে যেতে ইচ্ছে হয়। আর এ ঘটনায় যদি ফয়সালের কিছু হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি দায়ী থাকবে।

এ বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের জন্য জানতে চেয়ে ঘটনার দিন রাত ৯টা ২২ মিনিটে দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা লিটু প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানকে ফোন দেন। এর পরপরই রাত ১০টা ১০ মিনিটে অনশনরত শিক্ষার্থী বিষয়ক তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব আইন অনুষদের ডিন আব্দুল কুদ্দুস মিয়া আমাকে সাংবাদিক হিসেবে সহযোগিতার জন্য একাডেমিক ভবনে সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. শাজাহানের রুমে যেতে বলেন।

দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি তারিক লিটু যথাযথ সময়ে উপস্থিত হলে সাবেক উপাচার্য ড. শাজাহান বলেন, তোমার মত সাংবাদিক আমরা কেয়ার করি না।সাবেক উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. শাহজাহান এবং প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান তারেক লিটুর বিগত দিনের কিছু সংবাদের ব্যাখ্যা চান।প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিলেও তাকে হলুদ সাংবাদিক বলে আখ্যায়িত করেন তারা।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে প্রক্টর ডক্টর রাজিউর রহমানের সাক্ষাতের ছবিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব ফেসবুক পেইজে প্রচার করায় তিনি তারেক লিটু এবং বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের নামে লিগ্যাল অ্যাকশনে যাবেন বলেও হুমকি দেন।

এ ছাড়া কমিটির অন্যতম সদস্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার তারেক লিটুকে বলেন তোমার এলাকায় (খুলনা ৬) এমপির স্ত্রী আমার অধীনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি করতেন। তিনি চাইলে উক্ত জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি অভিযোগ করলে তারেক লিটুর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে বলে হুমকি দেন।

বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম গোলাম হায়দার বলেন, আমি তদন্ত কমিটির সদস্য। তদন্তবোর্ডে আমি সব সময় ছিলাম না। মাঝে মাঝে গিয়েছি। তবে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করার সময় খুলনা ৬ আসনের এমপির স্ত্রী তার অধীনে চাকরি করতেন বলে স্বীকার করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, সাংবাদিকের জিডির বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাই সঠিক তথ্য জানার জন্য ২ সাংবাদিককে তদন্ত কমিটিতে ডাকা হয়েছিল। সেখানে কি ঘটেছিল, তা আমি জানি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও গণমাধ্যমকর্মী ফয়সাল জামান বলেন,”২০১৯-২০ সেশনের অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা ভর্তিচ্ছুদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় আমাকে ডেকে নিয়ে জেরা করছে। সংবাদের লাইন ধরে ধরে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই সংবাদ করে আমার লাভ কি, এত ইন্টারেস্ট কেন, তোমাকে কি ইয়ে (টাকা) দিছে নাকি, এসকল প্রশ্ন করা হয়েছে। একটি ডকুমেন্টের সোর্সের নাম জানতে চেয়েছিল, নাম জানাতে অস্বীকার গেলে আমাকে চুরির অপবাদ ও চুরির দায়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই সংবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে বলে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে।”

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:০০
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:১৪
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫
  • ১১:৪৯
  • ৩:৩৫
  • ৫:১৪
  • ৬:৩১
  • ৬:২০