বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইইউ পার্লামেন্ট
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ইউরোপের বাজারে জিএসপি সুবিধার আওতায় ইবিএ ক্যাটাগরিতে পণ্য রপ্তানিতে কোনো শুল্ক দিতে হয় না।
গত বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাস হওয়া একটি রেজ্যুলেশনে বাংলাদেশের ইবিএ সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমপিদের হাত ওঠানোর মাধ্যমে সাতটি সংসদীয় গোষ্ঠীর আনা ওই রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক কনভেনশনের গুরুতর লঙ্ঘন সত্ত্বেও বাংলাদেশের সঙ্গে ইবিএ প্রক্রিয়া চলমান।’
মানবাধিকার সংস্থা অধিকার–এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রমকে পশ্চাৎপদ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের ইবিএ অগ্রাধিকার অব্যাহত রাখা উচিত কি–না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই রেজ্যুলেশনে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের এমপিরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা এনজিও, মানবাধিকার কর্মী এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য একটি নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশকে দেওয়া শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে শ্রমিক অধিকারের পাশাপাশি ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো বাক স্বাধীনতাসহ সার্বিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার শর্ত জুড়ে দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সে সময় সরকারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছিল, ২০২৩ সালের পর বাংলাদেশের ইবিএ সুবিধা বহাল থাকবে কি–না, তা শ্রমিক অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষার ওপর নির্ভর করবে।
স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে অস্ত্র বাদে সব পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ যদি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীতও হয়, তারপরও ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা অব্যাহত থাকবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতি ১০ বছর পর পর ইবিএ কর্মসূচি পর্যালোচনা করে থাকে। চলতি ইবিএর মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। পরবর্তী স্কিম নিয়ে এখন ইইউ কাজ করছে।
জিএসপি সুবিধা হারালে শূন্য শতাংশের বদলে বাংলাদেশকে রাতারাতি ১২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি করতে হবে।