জেলা প্রতিনিধিঃ ভারত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আলাদাভাবে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সন্ধ্যায় ভারত থেকে পালিয়ে এসে চারজন বাংলাদেশি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেরার গড়াইটুপি ইউনিয়নের খাসপাড়ার একটি বাড়িতে অবস্থান করছে এমন সংবাদ পান সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান।
খবর পেয়ে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান। এসময় ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভারত থেকে পালিয়ে আসা ৪ বাংলাদেশিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ৪ বাংলাদেশি হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের খাসপাড়ার ফজলু ব্যাপারীর ছেলে শাকিল হোসেন, নুরু ব্যাপারীর ছেলে শাহজালাল ও তাঁর স্ত্রী রাণী খাতুন এবং তাঁদের আত্মীয় কুমিল্লার শফি প্রধানের ছেলে রবিন প্রধান। সকলেই খাসপাড়া গ্রামে অবস্থান করছিলেন।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের খাসপাড়ার একটি বাড়িতে ভারত ফেরত থেকে পালিয়ে আসা চারজন বাংলাদেশি অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রা বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনকে জানায়। এসময় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান ও স্থানীয় তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই চারজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইশরাত জাহান জানান, সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে জানতে পারি ভারত থেকে পালিয়ে আসা চার বাংলাদেশি গড়াইটুপি ইউনিয়নের খাসপাড়ার একটি বাড়িতে অবস্থান করছেন। বিষয়টি যাচাই করতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রাথমিকভাবে তাঁদের ১৪দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।
তাঁদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হবে। যদি তাদের মধ্যে করোনার আলামত পাওয়া যায় তাহলে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তাঁদের নমুনায় করোনা শনাক্ত না হলেও ১৪দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতেহ্ আকরাম বলেন, ‘ভারত থেকে পালিয়ে আসা চারজনকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আলাদা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আগামীকাল (রোববার) তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হবে।
তাঁদের নমুনায় করোনা শনাক্ত হলে যতদিন না তাঁরা করোনা মুক্ত হচ্ছেন ততদিন তাঁদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রাকা হবে। তাঁদের নমুনায় করোনা শনাক্ত না হলেও ১৪ দিন বাধ্যতামূলক হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।’