জেলা প্রতিনিধিঃমেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবারে শিশুদের দিয়ে ড্রেন পরিষ্কারসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর ভিতরে রয়েছে টয়লেটের মল পরিষ্কার, শিশু পরিবার চত্বর পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নের সকল কাজ। এলাকাবাসীর এমন অভিযোগে প্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
সরেজমিনে মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবারে গিয়ে দেখা যায়, আসিব (১০), হুসাইন (৬) ও রিয়াদ (৬) নামের তিন শিশু পরিষ্কার করছে ড্রেনের পচা কাঁদা পানি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শিশুরা এখানে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার জন্য আসলেও তাদের করতে হয় ড্রেন, পায়খানা ট্যাংকিসহ শিশু পরিবার চত্বরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। ছোট ছোট শিশুদের চাপ দিয়ে এসব কাজ করিয়ে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবারের একাধিক শিশু জানায়, এসব কাজ না করলে স্যারেরা বকাবকি করে এবং চাপ দিয়ে সব কাজ করিয়ে নেয়।
মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবারের পাশে একটি বিল্ডিংয়ে কাজ করতে আসা রুবেল নামের একজন শ্রমিক বলেন, ‘এখানে বেশ কয়েকদিন ধরে কাজ করছি, প্রতিনিয়তই দেখছি তাদের দিয়ে বিভিন্ন রকমের কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আজকে সকাল থেকে তারা এসব ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করছিল এবং ড্রেনের পানিতে নেমে কাঁদা ও পানি পরিষ্কার করছিল।’
মেহেরপুর সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ‘সারা দেশে কোথাও শিশু পরিবারে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেওয়া নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কারা করে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের নীতিমালাতে আছে বাচ্চারা সকলে সম্মিলিতভাবে পরিষ্কার করবে।
ড্রেন ও পায়খানার ট্যাংকি পরিষ্কার করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে যে নিউজটা গেছে, ওটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং, আমাদের ট্যাংকিটা অনেক উঁচুতে তাই ওটা আটকে যাওয়ায় ইমারজেন্সি সময় রান্না-বান্নার সমস্যা হচ্ছিল, তাই শিশুদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া প্রতি ৬ মাস পর পর আমাদের ১০-১২ হাজার টাকা করে খরচ হয় ড্রেন পরিস্কার করতে। তিনি আরও বলেন, যে আপনাদেরকে নিউজ টা দিয়েছে, তার সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো না।
তাই এসব মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।’