ঢাকা ০১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১
  • / ১০৭৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিহারী পল্লীতে প্রথম স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় স্বামী ইসলাম সৃষ্টিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকসুদা পারভীনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে খালাস পেয়েছেন মামলার অন্য তিন আসামি সৃষ্টির মা বদরুন্নেছা, দ্বিতীয় স্ত্রী বেবী ও বোন বেবী।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রথম স্ত্রী ফারজানাকে শরীরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এর আড়াই বছর আগে ইসলামের সঙ্গে ফারজানার বিয়ে হয়।

হত্যার ঘটনায় ফারজানার বাবা রেজা বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। ২০০৫ সালের ২৮ জুন মোহাম্মদপুর থানার তৎকালীন এসআই শিহাব উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় প্রথমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। পরে মামলা বদলি হয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে আসে। ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

ট্যাগস :

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১

অনলাইন ডেস্কঃ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিহারী পল্লীতে প্রথম স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় স্বামী ইসলাম সৃষ্টিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকসুদা পারভীনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে খালাস পেয়েছেন মামলার অন্য তিন আসামি সৃষ্টির মা বদরুন্নেছা, দ্বিতীয় স্ত্রী বেবী ও বোন বেবী।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রথম স্ত্রী ফারজানাকে শরীরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এর আড়াই বছর আগে ইসলামের সঙ্গে ফারজানার বিয়ে হয়।

হত্যার ঘটনায় ফারজানার বাবা রেজা বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। ২০০৫ সালের ২৮ জুন মোহাম্মদপুর থানার তৎকালীন এসআই শিহাব উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় প্রথমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। পরে মামলা বদলি হয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে আসে। ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।