রাজবাড়ীর পাংশায় শিক্ষক নিয়োগে সিন্ডিকেট
বিশেষ প্রতিনিধিঃ পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের সাঁজুরিয়া জেহরা জেরীন উচ্চ বিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুর বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির আখরা গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক থাকা কালীন সময়েও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করেছেন।
গোপনীয়তা ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক থেকে গত দুই মাস পূর্বে প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। গড়ে তুলেছেন দূর্নীতির মহল। সে সময় অনুগত সহযোগী প্রার্থী দিয়ে নামমাত্র পরীক্ষায় তিনি প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। যেখানে ছিলনা কোনো প্রকার প্রতিযোগী মাধ্যম। বর্তমানে অফিস সহকারী ও ল্যাব সহকারী নিয়োগ কার্যক্রমেও গোপনীয়তা পালন করছেন তিনি। সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকায় নিয়োগ বিঙ্গপ্তি দেওয়ার বিধান থাকলেও তিনি সর্বস্ব পত্রিকায় বিঙ্গপ্তি দিয়ে টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
স্কুলের নোটিশ বোর্ড ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কোথাও নিয়োগ বিঙ্গপ্তির কপি টানানো হয়নি। এতে করেই বোঝা যায় তিনি দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এবং ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সব কাজ পরিচালনা করছেন। তার প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাতিল সহ অনিয়ম দূর্নীতির তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জোড়ালো হচ্ছে। তিনি কলিমহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক প্রভাবের ফলে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাও বিবৃত হচ্ছেন।
প্রধান শিক্ষক হিসেবে আব্দুল গফুর। মাষ্টারের নিয়োগ, নতুন করে দুইজন শিক্ষক নিয়োগ, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন সহ কোনো বিষয় নিয়েই তিনি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার সাথে যোগাযোগ করেন না বলেও অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মান্না মিয়া অভিযোগ করেছেন। বিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তোলা এবং নিয়োগ বাণিজ্যের অশুভ তৎপরতায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফুরের বিরুদ্ধে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে অসন্তোষ বিস্ফোরণ দেখা দিতে পারে।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম নাছিম আখতার বলেন, প্রধান শিক্ষকের এই কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আমার কাছে একটি অভিযোগ এসেছে। পত্রিকায় নিয়োগ বিহীন ও গোপনীয়তা নিয়ে এই নিয়োগ কখনই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটা অধিদপ্তরের সাথে চরম প্রতারণা। এই অপরাধের সত্যতা মিললে তার জন্য তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।