DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাসোমবার ২৫শে নভেম্বর ২০২৪
ঢাকাসোমবার ২৫শে নভেম্বর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠক বাংলাদেশের

Ellias Hossain
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩ ১২:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠক বাংলাদেশের

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে রাখাইনে প্রত্যাবাসনে প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে নেপিদোতে বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কর্মকর্তারা। এ লক্ষ্যে পাইলট প্রকল্পের আওতায় আহ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ বৈঠক হবে।

বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনু বিভাগের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল মিয়ানমার পৌঁছেছে। রোহিঙ্গাদের আস্থা ফেরানো ও নিরাপদ বোধ করাতে নেপিদো কী কী পদক্ষেপ নেবে, বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনায় জোর দেবে ঢাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্পের আওয়ায় চলতি মাসে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একাধিক বৈঠক হবে। এরই অংশ হিসেবে আজ নেপিদোয় বসছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। কিছু দিনের মধ্যে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে কক্সবাজার আসার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মূল প্রশ্ন হলো, তারা ফিরে যেতে নিরাপদ বোধ করছে কিনা। তারা যদি নিরাপদ বোধ না করে, তাহলে জোর করে ফেরত পাঠাবে না বাংলাদেশ। কারণ স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চায় ঢাকা।

কর্মকর্তা জানান, প্রত্যাবাসনে রাজি হওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বেশ কিছু ঘর তৈরি করেছে মিয়ানমার সরকার। তবে সেগুলো দেখে এসে প্রত্যাবসনে অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা। এখন তাদের আস্থা অর্জনে নেপিদো থেকে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো, প্রত্যাবাসনের পর রোহিঙ্গাদের এককালীন অর্থ দেওয়া হবে এবং ইচ্ছা করলে তারা নিজ গ্রামেও যেতে পারবে। মিয়ানমারের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।

তবে শুরুতেই রোহিঙ্গারা তাদের গ্রামে যেতে পারবে না। মিয়ানমার সরকারের দেওয়া ঘরবাড়িতে তাদের তিন মাস থাকতে হবে। এরপর নিজ গ্রামে স্থানান্তর করা হবে। আর কেউ যদি সরকারি ঘরবাড়িতে থেকে যেতে চায়, সে ব্যবস্থাও করবে মিয়ানমার সরকার।

আরো পড়ুন :  বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত

রোহিঙ্গাদের অন্যতম দাবি হলো, মিয়ানমারের নাগরিকত্ব অর্জন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, আশির দশকের শুরুতে মিয়ানমার তাদের নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন করে। তখন নাগরিকত্ব হারায় রোহিঙ্গারা। এখন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে হলে ওই আইন পরিবর্তন করতে হবে। নেপিদো বলেছে, বিষয়টি তাদের বিবেচনাধীন।

প্রাথমিক প্রত্যাবাসনের জন্য তিন হাজারের বেশি রোহিঙ্গার একটি তালিকা মিয়ানমারকে দেওয়া হয়েছে। এই তালিকার রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও মর্যাদার সঙ্গে একই এলাকায় একসঙ্গে থাকতে পারে এবং কেউ পরিবার থেকে আলাদা হয়ে না যায়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখছে বাংলাদেশ। তালিকাটির বিষয়ে মিয়ানমার সবুজ সংকেত দিলে সেখান থেকেই প্রত্যাবাসন শুরু হবে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৫৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:১৫
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০২
  • ১১:৪৭
  • ৩:৩৬
  • ৫:১৫
  • ৬:৩১
  • ৬:১৬