ঢাকা ০১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২

লাশের পেটে ইয়াবা

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৪৯ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে আব্দুস শুকুর নামে এক যুবকের পেটে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া গেছে। প্যাকেটে এক হাজার ৫৫০টি ইয়াবা ছিল। সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্তের সময় ইয়াবাগুলো পাওয়া যায়।

আব্দুস শুকুর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়ার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মোক্তার আহমেদ। ২৩ সেপ্টেম্বর পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আরো তিনজনের সঙ্গে শুকুরকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। রোববার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। পরে ময়নাতদন্তের সময় তার পেট থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার হয়।

নো! আমি এটার সাথে জরিত না: রায়ের পর সাহেদ

সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান, টেকনাফ থেকে পেটে ইয়াবা নিয়ে পাবনায় বিক্রি করতে এসেছিলেন শুকুর। পাবনার স্থানীয় তিন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ডিবি পুলিশ শুকুরকে গ্রেফতার করে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ১৫০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। কিন্তু পুলিশের কাছে তথ্য ছিল আটকদের কাছে আরো বেশি ইয়াবা আছে। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে, ইয়াবা আছে শুকুরের পেটের ভেতর। তাই তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওসি আরো জানান, হাসপাতালের চিকিৎসকরা পেটে আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং এক্স-রে করে নিশ্চিত করেন শুকুরের পেটে ইয়াবা রয়েছে। কিন্তু সেগুলো বের করার কোনো ব্যবস্থা তাদের কাছে নেই। তাই তারা শুকুরকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী তাকে হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই পুলিশের হেফাজতে তার চিকিৎসা চলছিল। রোববার রাতে শুকুর মারা যান।

কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন পাবেন ডা. সাবরিনা

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী জানান, জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয়। এ সময় শুকুরের পাকস্থলিতে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া যায়। এরমধ্যে ১৬টি প্যাকেট ঠিক ছিল। বাকি ১৫টি প্যাকেট ফেটে গিয়েছিল। এসব প্যাকেটের ইয়াবাও গলতে শুরু করেছিল। সেগুলো গণনা করা যায়নি। তবে ভালো থাকা ১৫টি প্যাকেটের ইয়াবা ঠিকমতো গণনা করা সম্ভব হয়েছে। এতে প্রত্যেক প্যাকেটে ৫০টি করে ইয়াবা পাওয়া গেছে। তাই তারা ধরে নিচ্ছেন যে, ৩১টি প্যাকেটেই ৫০টি করে ইয়াবা ছিল। মোট ইয়াবা এক হাজার ৫৫০টি। পাকস্থলিতে বিপুলসংখ্যক ইয়াবা গলে যাওয়ায় শুকুরের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লাশের পেটে ইয়াবা

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে আব্দুস শুকুর নামে এক যুবকের পেটে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া গেছে। প্যাকেটে এক হাজার ৫৫০টি ইয়াবা ছিল। সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্তের সময় ইয়াবাগুলো পাওয়া যায়।

আব্দুস শুকুর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়ার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মোক্তার আহমেদ। ২৩ সেপ্টেম্বর পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আরো তিনজনের সঙ্গে শুকুরকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। রোববার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। পরে ময়নাতদন্তের সময় তার পেট থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার হয়।

নো! আমি এটার সাথে জরিত না: রায়ের পর সাহেদ

সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান, টেকনাফ থেকে পেটে ইয়াবা নিয়ে পাবনায় বিক্রি করতে এসেছিলেন শুকুর। পাবনার স্থানীয় তিন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ডিবি পুলিশ শুকুরকে গ্রেফতার করে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ১৫০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। কিন্তু পুলিশের কাছে তথ্য ছিল আটকদের কাছে আরো বেশি ইয়াবা আছে। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে, ইয়াবা আছে শুকুরের পেটের ভেতর। তাই তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওসি আরো জানান, হাসপাতালের চিকিৎসকরা পেটে আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং এক্স-রে করে নিশ্চিত করেন শুকুরের পেটে ইয়াবা রয়েছে। কিন্তু সেগুলো বের করার কোনো ব্যবস্থা তাদের কাছে নেই। তাই তারা শুকুরকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী তাকে হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই পুলিশের হেফাজতে তার চিকিৎসা চলছিল। রোববার রাতে শুকুর মারা যান।

কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন পাবেন ডা. সাবরিনা

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী জানান, জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয়। এ সময় শুকুরের পাকস্থলিতে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া যায়। এরমধ্যে ১৬টি প্যাকেট ঠিক ছিল। বাকি ১৫টি প্যাকেট ফেটে গিয়েছিল। এসব প্যাকেটের ইয়াবাও গলতে শুরু করেছিল। সেগুলো গণনা করা যায়নি। তবে ভালো থাকা ১৫টি প্যাকেটের ইয়াবা ঠিকমতো গণনা করা সম্ভব হয়েছে। এতে প্রত্যেক প্যাকেটে ৫০টি করে ইয়াবা পাওয়া গেছে। তাই তারা ধরে নিচ্ছেন যে, ৩১টি প্যাকেটেই ৫০টি করে ইয়াবা ছিল। মোট ইয়াবা এক হাজার ৫৫০টি। পাকস্থলিতে বিপুলসংখ্যক ইয়াবা গলে যাওয়ায় শুকুরের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।