ঢাকা ০৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগী পরিবার, ন্যাশনাল হিউম্যান রাইট ক্রাইম রিপোর্টার ফাউন্ডেশনের তীব্র নিন্দা Logo চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের Logo এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের সংখ্যায় বিপর্যয় — মাত্র ৩৪৫ প্রতিষ্ঠান Logo কিশোরগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাট Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর Logo শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো। Logo ঈশ্বরগঞ্জে হাত ধোয়ার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতামূলক র‍্যালি ও প্রদর্শনী Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ Logo কারো কোনো ব্যথা নেই, শিক্ষকদের দাবি না মানায় চলছে টানা কর্মবিরতি Logo দশমিনা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইকবালের চতুর্থ জানাযা সম্পন্ন

শাশুড়ির সহযোগিতায় পুত্রবধূকে ধর্ষণ, হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা!

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ১০৪৭ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাটে প্রতিবন্ধী মেয়ে ধর্ষণ

শাশুড়ির সহযোগিতায় পুত্রবধূকে ধর্ষণ, হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা!

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গৃহবধূ আজমিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই ঘটেছে এই হত্যাকাণ্ড। জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গোলাপ মিয়ার সঙ্গে পুত্রবধূর সম্পর্ক তৈরিতে সহযোগিতা করতেন নিহত আজমিনার শাশুড়ি! ছেলে কৃষক শাহনুর মিয়া কৃষি শ্রমিক হিসাবে বাহিরে কাজ করতে গেলে গোলাপ মিয়াকে বাড়িতে ডেকে আনতেন আজমিনার শাশুড়ি হেলেনা বেগম।

গেল মঙ্গলবার রাতে হেলেনা বেগমের সহযোগিতায় ধর্ষণের শিকার হন আজমিনা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষক গোলাপকে জুতাপেটা করেন আজমিনা। ক্ষিপ্ত হয়ে আজমিনার মাথায় টিউবওয়েলের হাতল দিয়ে আঘাত করে গোলাপ। ঘটনাস্থলেই আজমিনার মৃত্যু হয়। এসময় সাহরির সময় ঘনিয়ে এলে মরদেহ গুমের চেষ্টার পর ব্যর্থ হয়ে গোলাপ ও তার সহযোগীরা। পরে শাশুড়ি হেলেনার সহযোগিতায় রাতেই বাড়ির পাশে খড়কুটো দিয়ে আজমিনার মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায় গোলাপ ও তার সঙ্গে থাকা অন্য সহযোগীরা।

আজমিনা হত্যা রহস্য উদঘাটনের পর শুক্রবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৯ সিলেট সিপিসি ৩ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের উপ-পরিচালক লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ।

[irp]

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের জামবাগ জৈতাপুর গ্রামের কৃষক শাহনুর মিয়ার স্ত্রী আজমিনার রক্তাক্ত মরদেহ খড়কুটো দিয়ে ঢাকা রাখা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর আমির হোসেন আমিরুল কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বুধবার রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তার একদিন পরেই তথ্য-প্রমাণাদির সাপেক্ষে আজমিনার শাশুড়িসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের জামাবাগ জৈতাপুর গ্রামের মৃত নাজির হোসেনের ছেলে গোলাপ মিয়া, তার সহযোগী একই গ্রামের আকরম আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া ও নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি হেলেনা বেগম। শুক্রবার তাদের তাহিরপুর থানায় সোপর্দ করেছে র‌্যাব।

[irp]

শুক্রবার সন্ধ্যায় লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গোলাপ গ্রামের প্রভাবশালী ও লাঠিয়াল। দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে আজমিনার শাশুড়িকে টাকা-পয়সার লোভ দেখিয়ে এই সম্পর্ক তৈরি করে। শাশুড়ির সহযোগিতায় ইতোপূর্বে কয়েকবার দুই শিশু সন্তানের জননী আজমিনাকে ধর্ষণ করে গোলাপ। মঙ্গলবার আজমিনাকে হত্যার পর মরদেহ গুমের ঘটনায় সরাসরি সহযোগিতা করেন আসামি হেলেনা বেগম, গোলাপের সহযোগী সোহাগ মিয়াসহ আরও কয়েকজন।

তিনি আরও বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এর আগেও ওই শাশুড়ি টাকা পয়সা খেয়ে বিভিন্ন মেয়েকে ভোগের সুযোগ তৈরি করে দেয় গোলাপকে।

তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত জব্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও র‌্যাব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আস্থা/এস.এস
[irp]

শাশুড়ির সহযোগিতায় পুত্রবধূকে ধর্ষণ, হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা!

আপডেট সময় : ০৬:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

শাশুড়ির সহযোগিতায় পুত্রবধূকে ধর্ষণ, হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা!

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গৃহবধূ আজমিনা আক্তার হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই ঘটেছে এই হত্যাকাণ্ড। জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গোলাপ মিয়ার সঙ্গে পুত্রবধূর সম্পর্ক তৈরিতে সহযোগিতা করতেন নিহত আজমিনার শাশুড়ি! ছেলে কৃষক শাহনুর মিয়া কৃষি শ্রমিক হিসাবে বাহিরে কাজ করতে গেলে গোলাপ মিয়াকে বাড়িতে ডেকে আনতেন আজমিনার শাশুড়ি হেলেনা বেগম।

গেল মঙ্গলবার রাতে হেলেনা বেগমের সহযোগিতায় ধর্ষণের শিকার হন আজমিনা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষক গোলাপকে জুতাপেটা করেন আজমিনা। ক্ষিপ্ত হয়ে আজমিনার মাথায় টিউবওয়েলের হাতল দিয়ে আঘাত করে গোলাপ। ঘটনাস্থলেই আজমিনার মৃত্যু হয়। এসময় সাহরির সময় ঘনিয়ে এলে মরদেহ গুমের চেষ্টার পর ব্যর্থ হয়ে গোলাপ ও তার সহযোগীরা। পরে শাশুড়ি হেলেনার সহযোগিতায় রাতেই বাড়ির পাশে খড়কুটো দিয়ে আজমিনার মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায় গোলাপ ও তার সঙ্গে থাকা অন্য সহযোগীরা।

আজমিনা হত্যা রহস্য উদঘাটনের পর শুক্রবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৯ সিলেট সিপিসি ৩ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের উপ-পরিচালক লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ।

[irp]

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের জামবাগ জৈতাপুর গ্রামের কৃষক শাহনুর মিয়ার স্ত্রী আজমিনার রক্তাক্ত মরদেহ খড়কুটো দিয়ে ঢাকা রাখা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর আমির হোসেন আমিরুল কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বুধবার রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তার একদিন পরেই তথ্য-প্রমাণাদির সাপেক্ষে আজমিনার শাশুড়িসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের জামাবাগ জৈতাপুর গ্রামের মৃত নাজির হোসেনের ছেলে গোলাপ মিয়া, তার সহযোগী একই গ্রামের আকরম আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া ও নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি হেলেনা বেগম। শুক্রবার তাদের তাহিরপুর থানায় সোপর্দ করেছে র‌্যাব।

[irp]

শুক্রবার সন্ধ্যায় লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গোলাপ গ্রামের প্রভাবশালী ও লাঠিয়াল। দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে আজমিনার শাশুড়িকে টাকা-পয়সার লোভ দেখিয়ে এই সম্পর্ক তৈরি করে। শাশুড়ির সহযোগিতায় ইতোপূর্বে কয়েকবার দুই শিশু সন্তানের জননী আজমিনাকে ধর্ষণ করে গোলাপ। মঙ্গলবার আজমিনাকে হত্যার পর মরদেহ গুমের ঘটনায় সরাসরি সহযোগিতা করেন আসামি হেলেনা বেগম, গোলাপের সহযোগী সোহাগ মিয়াসহ আরও কয়েকজন।

তিনি আরও বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এর আগেও ওই শাশুড়ি টাকা পয়সা খেয়ে বিভিন্ন মেয়েকে ভোগের সুযোগ তৈরি করে দেয় গোলাপকে।

তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত জব্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও র‌্যাব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আস্থা/এস.এস
[irp]