সোহরাব হোসেন স্টাফ রিপোর্টার :সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ বছর পূর্বের আউট সোর্সিংয়ে নিয়োগ দেওয়া জনবল দিয়েই চলছে। অথচ উক্ত টেন্ডারের মেয়াদ মাত্র ১ বছর। মেয়াদ শেষ হয়ে ৩ বছর অতিবাহিত হলেও পুনরায় টেন্ডার না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, বিগত ২০১৭ সালে শেষের দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জনবল বাড়ানোর টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়। কতিপয় কমর্কতাকে ম্যানেজ করে উক্ত ৭৬ জন জনবল নিয়োগের টেন্ডার হাতিয়ে নেন ঢাকা শহরের বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
আউট সোর্সিংয়ে ৭৬ জন নিয়োগের জন্য টেন্ডার হলেও সাতক্ষীরা বিভিন্ন এলাকার প্রায় দুইশতাধিক যুবকের কাছ থেকে জনপ্রতি ৩/৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন দুলাল। ৭৬ বাদে বাকী যুবকদের আশ^াস দিয়ে চাকুরি দিতে পারেননি। এমনকি অনেকের টাকাও ফেরত দেয়নি।
নিয়োগকৃতদের মাসিক বেতন ১৫ হাজার ৫ শ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের বেতন দেওয়া হয় ১২ হাজার ৫শ টাকা।
৭৬ জনের কর্ত্তনকৃত টাকা প্রতি মাসে ২লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর কিপার খায়রুলসহ দালালরা ও ঠিকাদাররা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। এ নিয়ে একাধিকবার আন্দোলন অনুষ্ঠিত হলে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আলাদা টেন্ডার হয়।
জনৈক আব্দুর রশিদসহ সেখানে কয়েকজন ঠিকাদার টেন্ডার জমা দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারদের কারো কাগজপত্র ঠিক নেই মর্মে জানান এবং শুধু মাত্র দুলালের কাগজপত্র ঠিক আছে বলে জানান। অথচ হাসপাতালের টেন্ডারে আব্দুর রশিদ কিভাবে পেলেন এটি নিয়ে সাতক্ষীরার সচেতন মহলের মধ্যে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
২০২০ সালে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর সাধারণ রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয় সাতক্ষীরা মেডিকেলে। সেখানে শুধু মাত্র করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আউট সোর্সিংয়ের কোন লোকজন হাসপাতালে না থাকলেও তাদের স্বাক্ষর জাল করে লক্ষ লক্ষ সরকারি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মেডিকেল কলেজের স্টোর কিপার খায়রুল ও ঠিকাদার দুলাল।
এবিষয়ে খায়রুলের সাথে যোগাযোগ করলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।