পূর্ণিমা হোসাইন, ভৈরব প্রতিনিধি
সিলেটের এমসি কলেজের ধর্ষক সহ বাংলাদেশের সকল ধর্ষকদের দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন করে ভৈরবের সর্বস্তরের ছাত্র -ছাত্রীরা।মানববন্ধনের সকলেই ছিলো স্কুল কলেজ পড়ুয়া তরুণ -তরুণী।সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের সদস্যরা।সেই ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির দবিতে সারা দেশে মানববন্ধন হচ্ছে।
৪ অক্টোবর রবিবার সকাল ১০ টায় ভৈরব দূর্জয় চত্বরে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।৬ দফা দাবি ছিলো মানববন্ধনে। ১ঃ ধর্ষনের বিচারের জন্য অতিসত্বর আলাদা ট্রাইবুনাল গঠন করতে হবে। ২ঃ ১৮ বছরের নিচে কোন কিশোরী ধর্ষিত হলে তার পড়াশোনা সহ চিকিৎসার সকল দায়ভার রাষ্ট্রের নিতে হবে। ৩ঃ কোনো ধর্ষণ কান্ড সংগঠিত হওয়ার ৭-১০ দিনের মধ্যে অপরাধীকে আটক করে বিচারের রায় দিতে হবে, এবং যত দ্রুত সম্ভব তা কার্যকর করতে হবে।
৪ঃ আগামী ৩ মাসের মধ্যে পূর্বে সংগঠিত সকল ধর্ষণ মামলার বিচারের কাজ নিষ্পত্তি করতে হবে। ৫ঃ কোনো ধর্ষণ মামলায় প্রশাসনের কারো স্বজনপ্রীতি, গাফিলতি ধরা পরলে বা প্রভাবশালী কারো মাধ্যমে টাকা দিয়ে নিষ্পত্তি করতে চাইলে, অথবা কেউ ধর্ষকের পক্ষে কথা বললে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। ৬ঃ সুষ্ঠু তদন্ত করে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ( ফাঁসির ) ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে সকল মেয়েদের একটি কথায় ছিলো, আমরা আজ প্রতিটি মুহূর্তে ভয়ে থাকি ধর্ষিতার তালিকায় পরের নাম আমার নয় তো? বাসা থেকে বের হলেও বাবা মা চিন্তা করে।এই দেশে ধর্ষকদের এমন ভাবে শাস্তি দেওয়ার আইন করা হোক যাতে মেয়েদের দিকে খারাপ নজরে তাকাতেও ধর্ষকরা ভয় পায়।৬ দফা মানববন্ধনের আয়োজন করে ইয়াসিন অপি, ইস্তিয়াক, শুভ, জুনায়েদ, পিয়াস, ইবাদ।
বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।