পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আমরা সব কিছু সঠিকভাবে করতে পারবো এমনটি নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না। কিন্তু সুন্দর আচরণে সঠিক পরামর্শটা নিশ্চিত করার সক্ষমতা সবার রয়েছে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে আইনের প্রয়োগ হলে সকল কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন হবে। এতে গড়ে উঠবে আস্থাশীলতা। মানুষের আস্থা নিবিড় করে পুরো কক্সবাজারের আইন-শৃঙ্খলা পরিচ্ছন্ন রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এমসি কলেজে গণধর্ষণ: সিলেট যাচ্ছে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি
ডিআইজি বলেন, মাদক কারবারিদের নতুন তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সীমান্তে মাদক চোরাচালান রোধে কঠোরভাবে কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে সেই লক্ষ্যে পুলিশকে ঢেলে সাজানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কাজে গতিশীলতা বাড়ানো এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে পুলিশ কাজ করবে। জেলা পুলিশে সবাই নতুন হলেও কাজের বেলায় দক্ষতার পরিচয় দেবে এটিই আমার বিশ্বাস। আর কাজের বেলায় জনকল্যাণকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ রয়েছে ঘুরেফিরে একই ব্যক্তি জেলার কোনো না কোনো থানায় পোস্টিং নিয়ে থাকতো। আমি যতদিন দায়িত্বে থাকবো ততদিন এ প্রথা চালু হবে না।
গণমাধ্যমে ব্রিফিংয়ের আগে ডিআইজি কক্সবাজার সদর মডেল থানার যোগদান করা সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ব্রিফিং করেন।
সবাইকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, মেরিন ড্রাইভের একটি চেকপোস্টে গুলিতে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ায় এটাকে অপেশাদারি আচরণ বলে অবহিত করা হচ্ছে। এ ঘটনার রেষে চরম বিতর্কের কারণে কক্সবাজারে দায়িত্বরত পুরোনো সকলকে একযোগে বদলি করে নতুন টিম দেয়া হয়েছে। এটার মূল লক্ষ্য হলো পেশাদারিত্ব ফুটিয়ে তুলে মানুষের আস্থাকে নিবিড় করা। সুন্দর আচরণ, সঠিকভাবে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করলে পেশাদারিত্ব নিশ্চিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, মাদকের বিষয়ে কোনো ছাড় নেই। পুরোনো তালিকা দেখে তদন্তের মাধ্যমে নতুন তালিকা করে এ ব্যাপারে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে।
এসপি বলেন, যারা ভালো কাজের জন্য পুলিশের কাছে আসবে তাদের প্রতি সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে। কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে আসলে তাদের বিরুদ্ধে চরম কঠোর হবে পুলিশ। আমার তরফ থেকে বার্তা হলো, দালালদের জন্য কক্সবাজার পুলিশের দরজা সম্পূর্ণ বন্ধ।
এ সময় কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গিয়াস, ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে, ওসি (অপারেশন) সেলিম উদ্দিন ও শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেনসহ জেলা পুলিশের নানা পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।