ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১১৬৭ বার পড়া হয়েছে

সুন্দরগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাঁত অর্থাৎ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো, দক্ষিণ ধুমাইটারি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সজিব (২০), একই গ্রামের আনারুলের ছেলে সোহেল রানা (১৮) ও নাহিদ ইসলাম (১৯)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবেশী ফুফা হিসেবে সজিবের সাথে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর প্রায় সময়ে মোবাইলে কথা বলতেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সজিব রাতে ওই কিশোরীর সাথে দেখা করতে বলে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে বাড়িতে থেকে ডেকে নেয় অভিযুক্ত যুবক। গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে তাকে বাড়ির বাহিরে আসতে বলেন। এরপর ওই কিশোরীকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে যায় সজিব। তারপর পার্শ্ববর্তী চিত্তরঞ্জনের একটি বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে গিয়ে প্রথমে সজিব জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সজিবের দুই বন্ধু নাহিদ ও সোহেল পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

এসময় অভিযুক্ত সজিবকে ধাওয়া করে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী। পরে দুই পথচারী তার কাছে ঘটনার বিস্তারিত জেনে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। তবে, বিষয়টি দীর্ঘ সময় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।

এদিকে, ওই কিশোরী বিকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে আসে। আগামী শনিবার সকালে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।

তবে, চাঞ্চল্যেকর এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস :

সুন্দরগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী

আপডেট সময় : ১১:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুন্দরগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাঁত অর্থাৎ শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো, দক্ষিণ ধুমাইটারি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সজিব (২০), একই গ্রামের আনারুলের ছেলে সোহেল রানা (১৮) ও নাহিদ ইসলাম (১৯)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবেশী ফুফা হিসেবে সজিবের সাথে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর প্রায় সময়ে মোবাইলে কথা বলতেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সজিব রাতে ওই কিশোরীর সাথে দেখা করতে বলে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে বাড়িতে থেকে ডেকে নেয় অভিযুক্ত যুবক। গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে তাকে বাড়ির বাহিরে আসতে বলেন। এরপর ওই কিশোরীকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে যায় সজিব। তারপর পার্শ্ববর্তী চিত্তরঞ্জনের একটি বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে গিয়ে প্রথমে সজিব জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সজিবের দুই বন্ধু নাহিদ ও সোহেল পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

এসময় অভিযুক্ত সজিবকে ধাওয়া করে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী। পরে দুই পথচারী তার কাছে ঘটনার বিস্তারিত জেনে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। তবে, বিষয়টি দীর্ঘ সময় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।

এদিকে, ওই কিশোরী বিকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে আসে। আগামী শনিবার সকালে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।

তবে, চাঞ্চল্যেকর এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।