স্বর্ণেরবার আত্মসাতের অজুহাতে অপহৃত যুবকের লাশ ৫ দিনপর উদ্ধার
যশোর প্রতিনিধিঃ
স্বর্ণেরবার আত্মসাতের অজুহাতে ডেকে নিয়ে অপহরণের পর নির্যাতনের স্বীকার ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৬) নামের সেই যুবকের অর্ধগলিত লাশ ৫ দিনের মাথায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী এলাকার বাগান থেকে উদ্ধার করে মাগুরা থানা পুলিশ।
মাগুরা থানার ওসি সেকেন্দার আলী লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি বেনাপোল পোর্টথানার অপহরণ মামলার ভিকিটিম ওমর ফারুকের। লাশটি বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অপহৃতের লাশ উদ্ধার হলেও এখনো পর্যন্ত এজাহার নামীয় আসামীদের আটক করা হয়নি।
স্বর্ণকান্ডে হত্যাকান্ডের স্বীকার ওমর ফারুক সুমন শার্শা থানাধীন টেংরালী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে ও পেশায় ১ জন রং মিস্ত্রি। অপহরণের ২দিন পরে নিহতের মাতা ফিরোজা বেগম বাদি হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত এজাহার নামীয় আসামীরা আটক হয়নি।
পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর/২৩ ইং তারিখ দুপুরে ওমর ফারুক বাসা হতে কালো রং এর পালসার মোটরসাইকে যোগে পাত্রি দেখার উদ্দ্যেশে বাসা হতে বের হয়ে আর ফেরেনি।
পরের দিন ১২ তারিখ সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি ফোন কলের মাধ্যমে ওমর ফারুকের পরিবার জানতে পারে সে অপহরণ হয়েছে। ১৫ নভেম্বর বুধবার রাতে মাগুরা জেলার আমখালীর নির্জন বাগানে সকালে মিললো অপহৃত ওমর ফারুকের লাশ।
এলাকাবাসীর দাবি অপহরণ কারীদের দ্রুত আটকপূর্বক পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা রাঘব বোয়ালদের মুখোস উন্মেচনসহ সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা। স্বর্ণকান্ডে সুমন অপহরণ ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
বেনাপোল সীমান্তের একাধিক সূত্র জানাই, মূলত ৩ কোটির অধিক মূল্যের স্বর্ণ ছিনতাই ঘটনা ধাপাচাপা দিতেই বহনকারী ওমর ফারুক সুমনকে বেনাপোল পোর্ট থানা হতে ২৫০ গজ দূরের একটি তৃতীয় তলা ভবনের কক্ষে আটকিয়ে রাতভর মারধরসহ অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। অপহরণকারীদের ইন্ধনের নেপথ্যে চেয়ারম্যান, একাধিক কাউন্সিলরসহ আরো অনেক রাজনৈতিক দলের বড় নেতারা রয়েছে বলে দাবি করেছে সূত্রটি যা প্রশাসনের সুষ্ঠ তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
প্রশাসনের একাধিক সংস্থা ইতিমধ্যে ঘটনাটির সিজিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে।