আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ভারতে চিকিৎসা ব্যবস্থা এমনিতেই ভেঙে পড়েছে। অনেকে চিকিৎসা
নিতে চাইলেও হাসপাতালে পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত শয্যা বা জায়গা। তবে এরপরও হাসপাতালে যারা জায়গা পেয়েছিলেন, তাদেরকে ‘সৌভাগ্যবানই’ বলা চলে।
কিন্তু করোনায় আক্রান্ত সেই সৌভাগ্যবানদেরই অনেকে পালিয়েছেন হাসপাতালের জানালা ভেঙে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার অরুন্ধতীনগরের পিআরটিআই কোভিড কেয়ার সেন্টার হাসপাতালে।
ত্রিপুরা সদরের সাবডিভিশনাল পুলিশ অফিসার অর্নিবান দাস জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে ত্রিপুরায় আসা যাত্রীদের করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষায় প্রায় ৫০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই সংক্রমণ রুখতে তাদের ওই পিআরটিআই কোভিড কেয়ার হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ওই ৫০ জন রোগীর মধ্যে মোট ৩১ জন করোনা হাসপাতালের জানালা ভেঙে পুলিশের নজর এড়িয়ে পাইপ বেয়ে নিচে নামেন এবং সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে হাসপাতালের অনেক বেড খালি থাকায় বিষয়টি নজরে আসে। শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি। যদিও এখনো পর্যন্ত পলাতক করোনা রোগীদের কারও খোঁজ মেলেনি।
এর আগেও বেশ কয়েকজন রোগী পালানোর চেষ্টা করায় আগেভাগেই হাসপাতালের গেটে পুলিশি পাহারাও বসানো হয়। তবে বৃহস্পতিবার রাতে কীভাবে একসঙ্গে এত করোনা রোগী পালিয়ে গেল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে এ ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের প্রায় সকল রেলওয়ে স্টেশন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। পলাতক করোনা রোগীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশও।