DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাবুধবার ৯ই জুলাই ২০২৫
ঢাকাবুধবার ৯ই জুলাই ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

৮৩ বছরের বৃদ্ধাকে দুই যুবকের পালাক্রমে ধর্ষণ

DoinikAstha
মে ২৫, ২০২১ ৬:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

৮৩ বছরের বৃদ্ধাকে দুই যুবকের পালাক্রমে ধর্ষণ

অনলাইন ডেস্কঃ শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় ঘরে ঢুকে এক বৃদ্ধাকে (৮৩) পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ডামুড্যা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। সোমবার (২৪ মে) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন- শিধলকুড়া ইউনিয়নের আরমান বেপারির ছেলে সামিম বেপারি (২৭) ও একই এলাকার তার বন্ধু শহীদ মাদবরের ছেলে হাসান মাদবর (২৬)।

আরো পড়ুন :  এবার মুরাদনগরে নারীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই বৃদ্ধার ঘর থেকে আর্তচিৎকার শুনে পাশের ঘরের লোকজন ছুটি আসেন। তারা ঘরে ঢুকার চেষ্টা করলে ভেতর থেকে আটকানোর কারণে ঢুকতে পারেননি। এ সময় সামিম ও হাসান পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।

ওই বৃদ্ধ বলেন, জীবনে বড় পাপ করেছি। না হলে আজ এই দিনটা দেখা লাগতো না।

তিনি জানান, তার স্বামী মারা গেছে অনেক বছর আগে। ঘরে একাই থাকেন। তিন মেয়েই থাকেন শ্বশুরবাড়ি। প্রতিদিনের মত রাতে তিনি শুয়ে পড়েন। মাঝেমধ্যেই রাতে সামিম তার ঘরে ঘুমাতে আসে।

ওই বৃদ্ধ বলেন, গতকাল রাতে সামিম এসে বলে পুলিশ তাকে ধরতে এসেছে। এ কথা বলায় সরল মনে দরজা খুলে দেই। সামিম ও হাসান ঘরে ঢুকে দরজা আটকে পাশের খাটে গিয়ে শুয়ে পড়ে। আমি ঘুমিয়ে যাই। হঠাৎ তারা আমার ওপর আক্রমণ করে। মুখ চেপে রাখায় আমি চিৎকার করলেও বের হয়নি। হঠাৎ মুখ ছুটে যাওয়ায় জোরে চিৎকার করি। এ সময় পাশের ঘরের রিনা ওর জামাইসহ আরও অনেকে ছুটে আসে।

আরো পড়ুন :  খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

রিনা বেগম বলেন, রাত প্রায় ৩টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। তখন আমি পাশের ঘরের ওই বৃদ্ধার চিৎকার শুনতে পাই। আমি মনে করেছিলাম অসুস্থ হয়ে এমনটা করছেন। অনেক সময় পর তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলে হঠাৎ বলে ওঠেন- ‘তোরা কে কোথায় আছত আমারে বাঁচা। সামিম আর হাসান আমাকে মেরে ফেলতাছে।’ আমি দরজা ধাক্কা দিলেও ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় খোলেনি। পরে তিনি বলে ওঠেন- ‘ওরা পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।’ দৌড়ে পেছন দিকে গিয়ে দেখি দুইজন দৌড়ে পালাচ্ছে। কিন্তু অন্ধকারে তাদের চিনতে পারিনি। ঘরে ঢুকে ওই বৃদ্ধাকে অজ্ঞান ও বিবস্ত্র অবস্থায় খাটে পড়ে থাকতে দেখি।

এদিকে অভিযুক্ত সামিমের দাদা সামসুল ইসলাম (৭৮) বলেন, আমার নাতি নেশা করে। কিন্তু কোনো মেয়েলি সমস্যা নেই। এলাকার মানুষ আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

ডামুড্যা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) প্রবীর চক্রবর্তী  বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ওই বৃদ্ধাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসার পর তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন :  এবার মুরাদনগরে নারীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
[prayer_time]