ঢাকা ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo আইনজীবী ও বিএনপি নেতার নাম জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয়দের ক্ষোভ Logo ইরানকে সহায়তা করায় ভারতীয়সহ ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা Logo খাগড়াছড়িতে ১৮ বছর পর ধানের শীষের পথ সভায় ওয়াদুদ ভূইয়া Logo নতুন করে পদায়ন করা হলো আরও ৯ ডিসি Logo বাংলাদেশের ১১ জেলাকে সংযুক্ত করে বানাতে চায় ‘গ্রেটার ত্রিপুরা ল্যান্ড’ Logo সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে ভারত-মিয়ানমার, বাংলাদেশ করছে প্রত্যাহার! Logo আ.লীগের আগ্রাসনের প্রতিবাদে পানছড়িতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo তাড়াইলে ধলা ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনুক গ্রেফতার Logo কিশোরগঞ্জে চবি চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিবকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা Logo কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

করোনাভাইরাস আমাদের জীবনে যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ

News Editor
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০
  • / ১০৮০ বার পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাস আমাদের জীবনকে সবচেয়ে খারাপভাবে প্রভাবিত করে চলেছে। আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এটি কেবল আবেগগতভাবে নয়, অর্থনৈতিকভাবেও অনেকের জীবনকে ব্যাহত করেছে।

যদিও আমরা মারাত্মক করোনভাইরাস আমাদের জীবনে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে অবহিত রয়েছি, তার পাশাপাশি সংক্রমণের সময় এটি যে ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ। করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ সাধারণত জ্বর হয়, তবে বাড়তে পারে বা সময়ের সাথে সাথে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার সহজ কিছু উপায় 

করোনাভাইরাসের সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ:
করোনাভাইরাস একটি শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা এবং তাই এটি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে, তবে লক্ষণগুলো অনেকটা সাধারণ সর্দি বা ফ্লু সংক্রমণের মতোই। সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে কয়েকটি হলো:

– শুষ্ক কাশি

– জ্বর

– গলা ব্যথা

– নাক দিয়ে পানি পড়া

– বুকের ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট

– ক্লান্তি

– গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ

– গন্ধ এবং স্বাদ অনুভূতি হ্রাস

করোনাভাইরাস কীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে:
উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝোংনান হাসপাতালের গবেষকদের দ্বারা চালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনায় আক্রান্ত ১৪০ জন রোগীর মধ্যে একই ধরণের লক্ষণ দেখা গেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে প্রায় ৯৯% রোগীর উচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশির ক্ষেত্রে ক্লান্তি এবং শুকনো কাশি রয়েছে। প্রায় এক তৃতীয়াংশ পেশী ব্যথা এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা বোধ করেছেন। করোনাভাইরাস ধীরে ধীরে কীভাবে বাড়তে থাকে, তা জেনে নিন-

প্রথম দিন: করোনাভাইরাসের প্রথম লক্ষণ সাধারণত জ্বর আকারে প্রকাশ পায়। কারও কারও ক্লান্তি, পেশীর ব্যথা এবং শুকনো কাশি হতে পারে, কম সংখ্যকের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া বা বমি বমি ভাব দেখা দেয়।

পঞ্চম দিন: রোগীরা বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। বিশেষত যদি তারা বয়স্ক হয় বা আগে থেকেই কোনো রোগে আক্রান্ত থাকে।

ষষ্ঠ দিন: উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়ন অনুসারে, সপ্তম দিনটি নির্ধারণ করে যে কোনো রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে না-কি হবে না।

অষ্টম দিন: এই দিন, গুরুতর করোনায় আক্রান্তদের তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সঙ্কট সিন্ড্রোম (এআরডিএস) প্রকাশ পেতে পারে।

দশম দিন: যদি দশ দিনের দিন লক্ষণগুলো আরও বাড়তে থাকে তবে এই সময়ে রোগীদের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

সতেরতম দিন: এরকম সময়ে লক্ষণগুলো সেরে উঠতে শুরু করে। সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তিদের দুই থেকে আড়াই সপ্তাহ পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আমরা কী করতে পারি?
বিজ্ঞানীরা এবং চিকিৎসা গবেষকরা এখনও ক্লিনিকালি অনুমোদিত ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কাজ করছেন, তবে ভাইরাসটির বিস্তার রোধে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও যদি আপনি মনে করেন যে আপনি সংক্রামিত হয়ে পড়েছেন, তাহলে অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা করাতে হবে এবং কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য বা করোনা নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত নিজেকে সবার থেকে আলাদা রাখতে হবে।

করোনাভাইরাস আমাদের জীবনে যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ

আপডেট সময় : ১০:২৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাস আমাদের জীবনকে সবচেয়ে খারাপভাবে প্রভাবিত করে চলেছে। আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এটি কেবল আবেগগতভাবে নয়, অর্থনৈতিকভাবেও অনেকের জীবনকে ব্যাহত করেছে।

যদিও আমরা মারাত্মক করোনভাইরাস আমাদের জীবনে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে অবহিত রয়েছি, তার পাশাপাশি সংক্রমণের সময় এটি যে ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ। করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ সাধারণত জ্বর হয়, তবে বাড়তে পারে বা সময়ের সাথে সাথে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার সহজ কিছু উপায় 

করোনাভাইরাসের সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ:
করোনাভাইরাস একটি শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা এবং তাই এটি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে, তবে লক্ষণগুলো অনেকটা সাধারণ সর্দি বা ফ্লু সংক্রমণের মতোই। সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে কয়েকটি হলো:

– শুষ্ক কাশি

– জ্বর

– গলা ব্যথা

– নাক দিয়ে পানি পড়া

– বুকের ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট

– ক্লান্তি

– গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ

– গন্ধ এবং স্বাদ অনুভূতি হ্রাস

করোনাভাইরাস কীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে:
উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝোংনান হাসপাতালের গবেষকদের দ্বারা চালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনায় আক্রান্ত ১৪০ জন রোগীর মধ্যে একই ধরণের লক্ষণ দেখা গেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে প্রায় ৯৯% রোগীর উচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশির ক্ষেত্রে ক্লান্তি এবং শুকনো কাশি রয়েছে। প্রায় এক তৃতীয়াংশ পেশী ব্যথা এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা বোধ করেছেন। করোনাভাইরাস ধীরে ধীরে কীভাবে বাড়তে থাকে, তা জেনে নিন-

প্রথম দিন: করোনাভাইরাসের প্রথম লক্ষণ সাধারণত জ্বর আকারে প্রকাশ পায়। কারও কারও ক্লান্তি, পেশীর ব্যথা এবং শুকনো কাশি হতে পারে, কম সংখ্যকের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া বা বমি বমি ভাব দেখা দেয়।

পঞ্চম দিন: রোগীরা বুকে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। বিশেষত যদি তারা বয়স্ক হয় বা আগে থেকেই কোনো রোগে আক্রান্ত থাকে।

ষষ্ঠ দিন: উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়ন অনুসারে, সপ্তম দিনটি নির্ধারণ করে যে কোনো রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে না-কি হবে না।

অষ্টম দিন: এই দিন, গুরুতর করোনায় আক্রান্তদের তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সঙ্কট সিন্ড্রোম (এআরডিএস) প্রকাশ পেতে পারে।

দশম দিন: যদি দশ দিনের দিন লক্ষণগুলো আরও বাড়তে থাকে তবে এই সময়ে রোগীদের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

সতেরতম দিন: এরকম সময়ে লক্ষণগুলো সেরে উঠতে শুরু করে। সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তিদের দুই থেকে আড়াই সপ্তাহ পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আমরা কী করতে পারি?
বিজ্ঞানীরা এবং চিকিৎসা গবেষকরা এখনও ক্লিনিকালি অনুমোদিত ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কাজ করছেন, তবে ভাইরাসটির বিস্তার রোধে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও যদি আপনি মনে করেন যে আপনি সংক্রামিত হয়ে পড়েছেন, তাহলে অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা করাতে হবে এবং কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য বা করোনা নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত নিজেকে সবার থেকে আলাদা রাখতে হবে।