DoinikAstha Epaper Version
ঢাকারবিবার ৬ই অক্টোবর ২০২৪
ঢাকারবিবার ৬ই অক্টোবর ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

গড়াই নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাঁশের বেড়া প্রকল্পে আস্থা বাড়ছে মানুষের

DoinikAstha
মে ২৩, ২০২১ ৭:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

গড়াই নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাঁশের বেড়া প্রকল্পে আস্থা বাড়ছে মানুষের

আবুল কালাম আজাদ রাজবাড়ী ঃ

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে গড়াই নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাঁশের বেড়া প্রকল্পের কাজ চলছে বিগত ৩ বছর ধরে। এ কাজের ফলে অনেকাংশে ভাঙ্গন প্রতিরোধ হওয়ার কারণে স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে বাড়ছে আস্থা।
বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের গড়াই নদীর পাড়ে চলছে এ কাজ। ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পরিবর্তন হবে নদীর গতিপথ, কমবে ভাঙন, বাড়বে ফসলি জমি। এসব কারণে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে নদী-তীরবর্তী মানুষ।
ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, এটি একটি পাইলট প্রকল্প। পরীক্ষামূলকভাবে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২৫ ফুট লম্বা বাঁশের বেড়া ১৩ ফুট মাটির নিচে এবং ১২ ফুট মাটির উপরে থাকবে। এতে করে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হবে। যে কারণে ভাঙনের সৃষ্টি হবে না। বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের জামসাপুর এলাকায় নদীভাঙনরোধে দেড় কিলোমিটার এলাকায় বাঁশের বেড়া প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয় ৭৫ লাখ টাকা। ওই কাজটি সুফল বয়ে আনার পর গত বছরও নারুয়া খেয়াঘাট এলাকায় ৫শত মিটার কাজ করা হয়। বাঁশের বেড়া প্রকল্পের এ কাজটি ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যাপক ভাবে সুফল বয়ে আনার ফলে চলতি বছর নারুয়া গ্রাম এলাকায় ৯৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২১০০ মিটার কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নুর কনস্ট্রাকশন। কাজটি চলমান রয়েছে।
স্থানীয় নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্ধা শরিফুল ইসলাম, শেখ মহিদুল ইসলাম, আব্দুল আলীম বলেন, গড়াই নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাঁশের বেড়া প্রকল্পটি সুফল বয়ে এনেছে। বিগত ২ বছর যে সব এলাকায় এ কাজ হয়েছে, সে স্থানগুলোতে ভাঙ্গন নয় আরো বালুর স্তর জমেছে। আমরা মরাবিলা, জামসাপুর ও কোনাগ্রাম এলাকায় আরো এ কাজ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম মাষ্টার বলেন, গড়াই নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে বাঁশের বেড়া প্রকল্পটি মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে সুফল বয়ে আনবে বলেও আশাবাদী। আরো অন্যান্য ভাঙ্গন কবলিত স্থানগুলোতে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে কাজ তদারকি কারী কর্মকর্তা ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মতিউর রহমান বলেন, এটি একটি পাইলট প্রকল্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নদীর নাব্য বৃদ্ধি পাবে ও ভাঙন কমবে। সেই সঙ্গে বাঁধের অপর পাড়ে পলি ও বালিমাটি পড়ে বাড়বে ফসলি জমি। বর্তমানে ২১০০ মিটার কাজ চলমান রয়েছে। কাজের মান ভালো করার জন্য সার্বক্ষনিক তদারকি করা হয়।

 

আরো পড়ুন :  নারায়ণগঞ্জে তরুণ–তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৩৫
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:৪৫
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৪০
  • ১১:৫০
  • ৪:০৩
  • ৫:৪৫
  • ৬:৫৮
  • ৫:৫১