ঢাকা ০৩:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo কিশোরগঞ্জে হাতপাখা প্রতীকের সমর্থনে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা Logo খাগড়াছড়িতে রোকেয়া দিবসে “অদম্য নারী সম্মাননা” পেলো ৩ নারী Logo নাইক্ষ্যংছড়িতে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ Logo কিশোরগঞ্জে-১ আসনে কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হকের সমর্থনে গণমিছিল  Logo পানছড়িতে পিসিসিপি’র শীতবস্ত্র বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াত প্রার্থীর গনসংযোগ ও মতবিনিময় Logo পানছড়িতে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় চোরাই পণ্য আটক Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল

ঘুম ভাঙল জাতিসংঘের, অস্ত্রনিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ১১:১৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
  • / ১০৪১ বার পড়া হয়েছে

ঘুম ভাঙল জাতিসংঘের, অস্ত্রনিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ অবশেষে যেন ঘুম ভাঙল জাতিসংঘের। মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের চার মাস পরে তাদের ওপর অস্ত্রনিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে আন্তঃসরকার সংস্থাটি। পাশাপাশি, দেশটির জান্তা সরকারের প্রতি একটি নিন্দাপ্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে সেখানে।

শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের ওপর অস্ত্রনিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে ১১৯টি দেশ। স্বৈরশাসিত বেলারুশই একমাত্র এর বিপক্ষে মত দেয়। আর চীন-রাশিয়াসহ মোট ৩৬টি দেশ প্রস্তাবে মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকে।মতামত প্রদানে বিরত থাকা দেশগুলোর মধ্যে কেউ কেউ এই সংকটকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যু হিসেবে উল্লেখ করেছে। আর অন্যরা বলছে, ওই প্রস্তাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নৃশংস সামরিক আক্রমণের বিষয়ে উল্লেখ নেই।

[irp]

বিবিসির খবর অনুসারে, এই প্রস্তাবের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও রাজনৈতিকভাবে এর গুরুত্ব অনেক।মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শারনার বার্গনার বলেন, (মিয়ানমারে) বৃহদাকার গৃহযুদ্ধের বাস্তব ঝুঁকি রয়েছে। সময় কম, সামরিক কর্তৃত্ব বদলানোর সুযোগ সংকীর্ণ হয়ে আসছে।

তবে জাতিসংঘে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী বিশেষ দূত কিয়াও মো তুন বলেছেন, এ ধরনের ‘লঘু’ প্রস্তাব পাস করতে জাতিসংঘের এত দীর্ঘ সময় লাগায় তিনি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।জাতিসংঘের প্রস্তাবটিতে মিয়ানমারে অং সান সু চিসহ সকল রাজনৈতিক বন্দিদের দ্রুত মুক্তি দেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই জান্তা সরকারের বিরোধিতায় রাস্তায় বিক্ষোভ করছে দেশটির জনগণ। জান্তাবিরোধী ওই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত পাঁচ হাজার জনকে।

[irp]

ট্যাগস :

ঘুম ভাঙল জাতিসংঘের, অস্ত্রনিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব

আপডেট সময় : ১১:১৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

ঘুম ভাঙল জাতিসংঘের, অস্ত্রনিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ অবশেষে যেন ঘুম ভাঙল জাতিসংঘের। মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের চার মাস পরে তাদের ওপর অস্ত্রনিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে আন্তঃসরকার সংস্থাটি। পাশাপাশি, দেশটির জান্তা সরকারের প্রতি একটি নিন্দাপ্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে সেখানে।

শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের ওপর অস্ত্রনিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে ১১৯টি দেশ। স্বৈরশাসিত বেলারুশই একমাত্র এর বিপক্ষে মত দেয়। আর চীন-রাশিয়াসহ মোট ৩৬টি দেশ প্রস্তাবে মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকে।মতামত প্রদানে বিরত থাকা দেশগুলোর মধ্যে কেউ কেউ এই সংকটকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যু হিসেবে উল্লেখ করেছে। আর অন্যরা বলছে, ওই প্রস্তাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নৃশংস সামরিক আক্রমণের বিষয়ে উল্লেখ নেই।

[irp]

বিবিসির খবর অনুসারে, এই প্রস্তাবের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকলেও রাজনৈতিকভাবে এর গুরুত্ব অনেক।মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শারনার বার্গনার বলেন, (মিয়ানমারে) বৃহদাকার গৃহযুদ্ধের বাস্তব ঝুঁকি রয়েছে। সময় কম, সামরিক কর্তৃত্ব বদলানোর সুযোগ সংকীর্ণ হয়ে আসছে।

তবে জাতিসংঘে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী বিশেষ দূত কিয়াও মো তুন বলেছেন, এ ধরনের ‘লঘু’ প্রস্তাব পাস করতে জাতিসংঘের এত দীর্ঘ সময় লাগায় তিনি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।জাতিসংঘের প্রস্তাবটিতে মিয়ানমারে অং সান সু চিসহ সকল রাজনৈতিক বন্দিদের দ্রুত মুক্তি দেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই জান্তা সরকারের বিরোধিতায় রাস্তায় বিক্ষোভ করছে দেশটির জনগণ। জান্তাবিরোধী ওই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত পাঁচ হাজার জনকে।

[irp]