স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ কখনোই জঙ্গিবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি, দেবেও না। বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। বুধবার পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) পরিদর্শন শেষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কখনোই জঙ্গিবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি, দেবেও না। এটা শুধু মুখের কথা নয়, সরকারের বিভিন্ন কমিটমেন্ট এবং গৃহীত কার্যক্রমের ফলে এটা দৃশ্যমান বাস্তবতা। জঙ্গিবাদ দমনে প্রধানমন্ত্রী আপসহীন এবং আন্তরিক। তিনি পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, হলি আর্টিসান হামলার পর দ্রুততম সময়ে সামগ্রিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে আমরা অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট সৃষ্টি করেছি, আইনগত শক্তিশালী ভিত্তিভূমির উপর দাঁড় করিয়েছি। অত্যন্ত স্বল্পসময়ের মধ্যে বিশেষায়িত এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠাকালীন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জনমানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে, বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে।
করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর বিকল্প নেই
পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, বর্তমান সরকার পুলিশের সার্বিক উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। সরকার বাংলাদেশ পুলিশকে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের লক্ষ্যে গঠিত এটিইউ’র সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি বর্তমানে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, সরকারের একটি অগ্রাধিকারমূলক ইস্যু হচ্ছে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমন। বিগত এক দশকে বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদকে একটি সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসতে পেরেছে। জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় এটিইউ’র সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।
মতবিনিময় সভায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসানের সভাপতিত্ব উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, ডিআইজি মো. দিদার আহাম্মদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।