নিজস্ব প্রতিবেদক:
এবার গরু বিকির টাকা সহ ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ভক্তের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন খেতা শাহ নামের এক ভন্ড পীর।
তিন সন্তান ফেলে ফকিরের সঙ্গে স্ত্রী চলে যাওয়ায় একদিকে যেমন বিপাকে পড়েছেন ওই ফকিরের ভক্ত’র পরিবার তেমনি বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড় ও মুখরোচক আলোচনা-সমালোচনা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) তারাকান্দা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, তারাকান্দা উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের টিকুরিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৩৫) স্ত্রী রাবিয়া খাতুন (৩৩) তাদের তিন সন্তান নিয়ে ভালভাবেই দিনানিপাত করে আসছিলেন।
তাদের সঙ্গে পরিচয় ঘটে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার হীরণপুর গ্রামের কথিত আধ্যাতিক পীর ফজলুল হক তালুকদার ওরফে খেতা শাহ (৬০) ’র সঙ্গে।
গত দেড় মাস আগে ওই পীর এসে ভক্তের বাড়িতে উঠেন।
এরপর ভক্ত শফিকুল ও তার স্ত্রী মিলে অলৌকিক ভাবে আধ্যাতিকতা সাধন করতে পীর খেতা শাহকে খুশী রাখতে ভালমন্দ খাওয়াতে থাকেন এবং সেবা সাধনায় মগ্ন হতে থাকেন।
গেল ২২ জুন দুপুরের দিকে পীর খেতা শাহ ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলায় ভক্তের স্ত্রী রাবিয়া খাতুনকে সাথে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশে টিকুরিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি।
এরপর ভক্তের বাড়িতে স্ত্রী ও পীর না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলেও তাদের সন্ধান মেলেনি।
খেতা শাহের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও শফিকুল তাদের সন্ধান পেতে ব্যর্থ হন।
শফিকুল ইসলাম জানান, আমি সরল মনে পীর ফকির মনে করে বাড়িতে খেতা শাহকে আশ্রয় দেই , কিন্তু সে যে এত বড় বড় প্রতারক তা আমি বুঝিনি। আমার ধারণা সে তন্ত্রমন্ত্ ‘র ভয় দেখিয়ে নানাভাবে ফুসলিয়ে আমার স্ত্রীকে দূরে কোথাও নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে।
আমার এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে এখন অনেক বিপাকে পড়েছি।
এ ঘটনায় তারাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়েরও করেছি।
যাওয়ার সময় ঘরে থাকা গরু বিক্রি করা ৯০ হাজার টাকাও তারা নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন শফিকুল।
তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং তাদেরকে সন্ধান পেতে পুলিশী চেষ্টা চলমান রয়েছে।