ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভালো ফলন হলেও, দামে হতাশ কৃষক

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০২:২২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১
  • / ১০৬৮ বার পড়া হয়েছে

ভালো ফলন হলেও, দামে হতাশ কৃষক

আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী: এবছর কৃষিজাত ফসল পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, পেঁয়াজের ফলন ভালো ও উৎপাদন বাড়লেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষক। বাম্পার ফলন হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। রাজবাড়ীর একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাজবাড়ী সদরের সুলতানপুর এলাকার কৃষক জমসেদ বেপারি বলেন, ফলন ভালো হয়েছে। তবে আমরা ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। ৭২ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন করে ঘরে তুলতে খরচ হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। আনুমানিক পেঁয়াজ পেয়েছি ৯০-৯১ মণ। প্রতিমণ পেঁয়াজের দাম বর্তমানে ৮০০-৯০০ টাকা।

এরকম দাম পেলে উৎপাদন খরচ তো দূরে থাক উল্টো লোকসান গুনতে হবে। গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চাষি মোস্তফা জানান, ৩৮ শতক জমিতে শীতের সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছি। কিন্তু এক একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে বাজারে যে দাম দেখছি তাতে লোকসান গুনতে হবে। জেলার পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের কৃষক আতাউর রহমান জানিয়েছেন, এলাকার অধিকাংশ কৃষকই পেঁয়াজের উৎপাদন করেছেন।

জমি থেকে পেঁয়াজ তুলে তা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ঘরে তোলাও প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু তা উৎপাদন করে ঘরে তুলতে যে অর্থ খরচ হয়েছে সেক্ষেত্রে বাজারে যে দাম তাতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন না। এব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা কৃষি কর্মকর্তা গোপাল কৃঞ্চ দাস জানান, কৃষক তার উৎপাদিত পেঁয়াজের উপযুক্ত দাম না পেয়ে কিছুটা লোকসানে পড়ছেন–এমন অভিযোগ পেয়েছি।

তবে এ অভিযোগ পুরোপুরিভাবে সঠিক নয়। তারপরও কৃষক যাতে তার উৎপাদিত ফসলের ন্যয্য দাম পায় সেজন্য বাজার মনিটরিং এর পাশাপাশি আমরা আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো।

ট্যাগস :

ভালো ফলন হলেও, দামে হতাশ কৃষক

আপডেট সময় : ০২:২২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ এপ্রিল ২০২১

ভালো ফলন হলেও, দামে হতাশ কৃষক

আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী: এবছর কৃষিজাত ফসল পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, পেঁয়াজের ফলন ভালো ও উৎপাদন বাড়লেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষক। বাম্পার ফলন হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। রাজবাড়ীর একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

রাজবাড়ী সদরের সুলতানপুর এলাকার কৃষক জমসেদ বেপারি বলেন, ফলন ভালো হয়েছে। তবে আমরা ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। ৭২ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন করে ঘরে তুলতে খরচ হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। আনুমানিক পেঁয়াজ পেয়েছি ৯০-৯১ মণ। প্রতিমণ পেঁয়াজের দাম বর্তমানে ৮০০-৯০০ টাকা।

এরকম দাম পেলে উৎপাদন খরচ তো দূরে থাক উল্টো লোকসান গুনতে হবে। গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চাষি মোস্তফা জানান, ৩৮ শতক জমিতে শীতের সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছি। কিন্তু এক একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে বাজারে যে দাম দেখছি তাতে লোকসান গুনতে হবে। জেলার পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের কৃষক আতাউর রহমান জানিয়েছেন, এলাকার অধিকাংশ কৃষকই পেঁয়াজের উৎপাদন করেছেন।

জমি থেকে পেঁয়াজ তুলে তা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ঘরে তোলাও প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু তা উৎপাদন করে ঘরে তুলতে যে অর্থ খরচ হয়েছে সেক্ষেত্রে বাজারে যে দাম তাতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন না। এব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা কৃষি কর্মকর্তা গোপাল কৃঞ্চ দাস জানান, কৃষক তার উৎপাদিত পেঁয়াজের উপযুক্ত দাম না পেয়ে কিছুটা লোকসানে পড়ছেন–এমন অভিযোগ পেয়েছি।

তবে এ অভিযোগ পুরোপুরিভাবে সঠিক নয়। তারপরও কৃষক যাতে তার উৎপাদিত ফসলের ন্যয্য দাম পায় সেজন্য বাজার মনিটরিং এর পাশাপাশি আমরা আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো।