মোঃ আমির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে মহল্লাদার নিয়োগে মোঃ রাব্বি খান জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মো. রুবেল হাওলাদার ও মো. নাঈম হাওলাদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগে এ তথ্য জানায়। রুবেল মোঃ নুরুল ইসলাম হাওলাদার এর পুত্র ও নাঈম মো. ইউসুব আলী হাওলাদার এর পুত্র। তারা উভয় রাজাপুর উপজেলা সদরের ১নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীকে জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক ও ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার কথা থাকলেও নিয়মনীতির মোয়াক্কা না করেই রাব্বিকে চুড়ান্ত বাছাই করা হয়েছে। রাব্বি পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠি সদর উপজেলার ধাঁনসিড়ি ইউনিয়নের বাটারাকান্দা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ বেলায়েত হোসেন এর পুত্র ও রাজাপুর উপজেলা সদরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন পূর্ব রাজাপুর এলাকার মোঃ শাহজাহান হাওলাদার এর মেয়ে জামাতা।
হাতিয়ায় আইন শৃঙ্খলা সভা,ধর্ষণ রোধে জিরোট্রলারেন্স ঘোষনা
অভিযোগে আরো জানাগেছে, রাব্বির শ্বশুর শাহজাহান হাওলাদার নিজে জাল জালিয়াতির মামলায় ২৫ বছর ফেরয়ারী ছিলেন। ২৫ বছর পরে এসে জামিন নেয়। সেই মামলা এখনও চলমান। চলতি বছরেই রাব্বির ভোটার উদেশ্যমূলক ভাবে এ উপজেলায় স্থানান্তর করা হয়। শাহজাহান তার মেয়ে জামাতাকে রাজাপুর উপজেলা স্থায়ী বাসিন্দা প্রমান করতে জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সকল প্রকার কাগজ তৈরী করেছেন।
এমনকি শিক্ষাগতযোগ্যতা প্রমান করতে গিয়ে একই বছর ২০০৭ সালে দুই প্রতিষ্ঠানে ৮ম শ্রেনী পাশের সনদপত্র সংগ্রহ করেছেন। প্রতিষ্ঠান দুইটি হলো পশ্চিম বাদুরতলা নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কানুদাসকাঠী নলবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। যার একটি দিয়ে জন্ম সনদ ও অন্যটি মহল্লাদার পদে আবেদন করেন। রুবেল ও নাঈম সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট এ জাল জালিয়াতির সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করেন।
এ ব্যাপারে মো. রাব্বি খান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে রাজাপুর উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা দাবী করে জানায়, আমার ভোটার, জন্মনিবন্ধন, খানা সবকিছু এখানের। শিক্ষাগত দুইটি সনদ এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে ফোন বন্ধ করে রাখে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিয়োগ কমিটির সভাপতি মো. সোহাগ হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগের ভিত্তিতে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসলেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।