ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চট্টগ্রাম ইপিজেডে আগুন নেভাতে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা Logo পানছড়ির মধ্যনগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত Logo ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ও অনুভূতিহীন কর্তৃপক্ষ Logo চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাঁচ কলেজে পাস করেনি কেউ! Logo গরমছড়িতে জমি দখল নিয়ে তাণ্ডব, ফটিকছড়িতে বসতবাড়িতে হামলা! Logo চাকসুতে ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের Logo এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের সংখ্যায় বিপর্যয় — মাত্র ৩৪৫ প্রতিষ্ঠান Logo কিশোরগঞ্জে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হামলা ও লুটপাট Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর Logo শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো।

ইতিহাসে আমি প্রথম যেখানে সবাই ধর্ষিতার ছবি দেখতে চাচ্ছে

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৪:০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৮৯ বার পড়া হয়েছে

২০২০ ইংরেজী সালের ২০ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৬ জনে বিরুদ্ধে মামলা করে।

তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে।

ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বাদী শিক্ষার্থী ঢাবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকেন। এ ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি মেয়েটির একটি সাক্ষাৎকার সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

সেখানে বাদী বলেন, একটা খবর প্রকাশ পেয়েছে যে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে ঢাবির এক শিক্ষার্থী। এই শিরোনামে একটা নিউজ হয়। মামলার বাদী বলেন আমি কিন্তু আমার এজাহারের কোথাও সেটা লিখিনি যে ভিপি নুর হচ্ছে ধর্ষক।

তবে ধর্ষণে সহায়তা বলতে আমি বুঝিয়েছি, বিচারপ্রাপ্তিতে সে (সাবেক ভিপি নুর) বাধা দিয়েছে। আর যে অপরাধী, একজন ধর্ষককে সে আশ্রয় দিয়েছে। আমি ভিপি নুরের ব্যাপারে এভাবে বলেছি।

একটা বিষয় মনে হচ্ছে যে, অনেকে মনে করছে আমি কারো প্ররোচনায়, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্ররোচনায় পড়ে আমি এমন করছি যা একদম সঠিক না।

ভিপি নুর মিথ্যাবাদী ও মানসিক বিকারগ্রস্ত: ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি

অনেকেই বলছেন যে, ধর্ষক নয় ধর্ষিতার ছবি প্রকাশ করুন। এই বিষয়টা মনে হয় এ দেশে ইতিহাসে আমিই প্রথম যার সাথে এই রকম হচ্ছে। কোনো মেয়ে কোনো নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ করতে বলছে, ধর্ষকের ছবি প্রকাশ করো না বলছে।

আসামিরা যে জনপ্রিয় সেই জনপ্রিয়তার জন্যে হয়তো সত্যিটা ঢেকে যাচ্ছে। আর যারা জনপ্রিয় তারা কি অন্যায় করে না? যারা জনপ্রিয় তাদের মানসম্মান আছে, আমার কি মানসম্মান নেই?

ভিপি নূরের আইন অনুযায়ী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নুরুল হক নুর একটা লাইভে বলেছেন যে, টাকার বিনিময়ে কোনো এক সংগঠনের প্রসংশা করার জন্য আমি এটা করেছি। উনি যদি এটা প্রমাণ করতে পারেন যে টাকার বিনিময়ে আমি এটা করেছি, তো তিনি যেনো একটা প্রমাণ করে দেন।

আর যদি উনি এটা প্রমাণ করতে না পারেন যে আমি টাকার বিনিময়ে আমি মামলা করে ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করছি, তাহলে আমি নুরের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবো।

আর একটা ব্যাপার হচ্ছে যে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন কোনো জায়গায় এমন কোনো সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি যে, একটা মেয়ে তার সম্ভ্রমটাকে পুঁজি করে একটা মিথ্যা মামলা করবে।

আমাকে নিয়ে যেরকমটা বলা হচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নাই আসলে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, কারো প্ররোচনায় বা টাকা নিয়ে আমি এমনটা করছি, সেটার কোনো ভিত্তি নাই।

বিগত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নুরুল হক নূরসহ ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।

সন্ধ্যার দিকে ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে ভিপি নূর ও তার সহযোগীরা শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবনের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তারা পুলিশের কাজে বাধা দিলে মৎস্য ভবন এলাকা থেকে নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আটক করা হয়।

পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আবারো রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ওই ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। মামলায় আরো পাঁচজনকে পৃথক অভিযোগে আসামি করা হয়। এতে উল্লেখিত অভিযোগ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগও আনা হয়।

ইতিহাসে আমি প্রথম যেখানে সবাই ধর্ষিতার ছবি দেখতে চাচ্ছে

আপডেট সময় : ০৪:০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

২০২০ ইংরেজী সালের ২০ সেপ্টেম্বর রবিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৬ জনে বিরুদ্ধে মামলা করে।

তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে।

ধর্ষণের স্থান হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বাদী শিক্ষার্থী ঢাবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকেন। এ ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি মেয়েটির একটি সাক্ষাৎকার সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

সেখানে বাদী বলেন, একটা খবর প্রকাশ পেয়েছে যে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে ঢাবির এক শিক্ষার্থী। এই শিরোনামে একটা নিউজ হয়। মামলার বাদী বলেন আমি কিন্তু আমার এজাহারের কোথাও সেটা লিখিনি যে ভিপি নুর হচ্ছে ধর্ষক।

তবে ধর্ষণে সহায়তা বলতে আমি বুঝিয়েছি, বিচারপ্রাপ্তিতে সে (সাবেক ভিপি নুর) বাধা দিয়েছে। আর যে অপরাধী, একজন ধর্ষককে সে আশ্রয় দিয়েছে। আমি ভিপি নুরের ব্যাপারে এভাবে বলেছি।

একটা বিষয় মনে হচ্ছে যে, অনেকে মনে করছে আমি কারো প্ররোচনায়, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্ররোচনায় পড়ে আমি এমন করছি যা একদম সঠিক না।

ভিপি নুর মিথ্যাবাদী ও মানসিক বিকারগ্রস্ত: ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি

অনেকেই বলছেন যে, ধর্ষক নয় ধর্ষিতার ছবি প্রকাশ করুন। এই বিষয়টা মনে হয় এ দেশে ইতিহাসে আমিই প্রথম যার সাথে এই রকম হচ্ছে। কোনো মেয়ে কোনো নির্যাতিতার ছবি প্রকাশ করতে বলছে, ধর্ষকের ছবি প্রকাশ করো না বলছে।

আসামিরা যে জনপ্রিয় সেই জনপ্রিয়তার জন্যে হয়তো সত্যিটা ঢেকে যাচ্ছে। আর যারা জনপ্রিয় তারা কি অন্যায় করে না? যারা জনপ্রিয় তাদের মানসম্মান আছে, আমার কি মানসম্মান নেই?

ভিপি নূরের আইন অনুযায়ী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নুরুল হক নুর একটা লাইভে বলেছেন যে, টাকার বিনিময়ে কোনো এক সংগঠনের প্রসংশা করার জন্য আমি এটা করেছি। উনি যদি এটা প্রমাণ করতে পারেন যে টাকার বিনিময়ে আমি এটা করেছি, তো তিনি যেনো একটা প্রমাণ করে দেন।

আর যদি উনি এটা প্রমাণ করতে না পারেন যে আমি টাকার বিনিময়ে আমি মামলা করে ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করছি, তাহলে আমি নুরের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবো।

আর একটা ব্যাপার হচ্ছে যে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন কোনো জায়গায় এমন কোনো সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি যে, একটা মেয়ে তার সম্ভ্রমটাকে পুঁজি করে একটা মিথ্যা মামলা করবে।

আমাকে নিয়ে যেরকমটা বলা হচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নাই আসলে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, কারো প্ররোচনায় বা টাকা নিয়ে আমি এমনটা করছি, সেটার কোনো ভিত্তি নাই।

বিগত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নুরুল হক নূরসহ ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।

সন্ধ্যার দিকে ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে ভিপি নূর ও তার সহযোগীরা শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবনের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তারা পুলিশের কাজে বাধা দিলে মৎস্য ভবন এলাকা থেকে নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আটক করা হয়।

পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আবারো রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ওই ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। মামলায় আরো পাঁচজনকে পৃথক অভিযোগে আসামি করা হয়। এতে উল্লেখিত অভিযোগ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগও আনা হয়।