উঠতে দেখলেই লোকে টেনে নামায়! সকলের সামনেই চোখে জল, বন্ধ হচ্ছে স্মার্ট নন্দিনী দিদির ভাতের হোটেল?
আস্থা ডেস্কঃ
সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন স্মার্ট দিদি নন্দিনী গাঙ্গুলি বর্তমান প্রজন্মের অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। তাঁর পাইস হোটেল এখন সর্বজনবিদিত। শহর কলকাতার মানুষ তো বটেই এমনকি বাংলাদেশ থেকেও অনেকে এসেছেন নন্দিনীর হাতের তৈরি খাবার খেতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় জেরে দারুন ফ্যান ফলোয়িং নন্দিনীর। জনপ্রিয় সব ফুড ব্লগাররাও হামেশাই ভিড় জমান তাঁর দোকানে।
এবার এহেন নন্দিনীর মুখেই শোনা গেল হা-হুতাশ। সম্প্রতি এক জনপ্রিয় ইউটিউবার কে নিজের দুঃখের কথা জানাতে গিয়ে চোখের জল চলে এসেছে নন্দিনীর। স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও নন্দিনীর কথাতে যেন উঠে এলো বুক ভাঙ্গা কষ্ট। এদিন নন্দিনী বলেছেন ‘দু দিন পর তোরা হয়তো আমাকে এখানে না-ও দেখতে পারিস।’ কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না নন্দিনী নতুন কোন জায়গায় দোকান দিচ্ছেন? নাকি ওই জায়গা থেকেই তার দোকান উৎখাত করে দেওয়া হচ্ছে?
নন্দিনী এদিন সবটা খোলসা না করলেও শুধু বলেছেন ‘বলব, বলব, তোদের সবাইকে জানাব। আছে এরকম কিছু জিনিস। তোদের সব ইউটিউবারকেই ফোন করব। বসব, তোদের জন্যই তো আমি আজ এখানে। নন্দিনী থেকে নন্দিনী দিদি হয়েছি। পাঁচজন থেকে পঞ্চাশজন, একশোজন-দেড়শো জন, যাই পেয়েছি তোদের জন্যই পেয়েছি। তোদের জন্যই আজকে আমি।’
এরপর খানিক ধরা গলায় নন্দিনী বলেছেন, ‘যখনই দেখি না কেউ বাড়ছে, আমরা তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করি। তবে কথাতেই তো আছে রাখে হরি মারে কে। কপালে যা আছে তা তো হবেই।’ সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন নন্দিনী দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে এসেও শুনিয়ে গিয়েছেন নিজের জীবনের লড়াইয়ের কাহিনী।
চাকরি ছেড়ে করোনা কালেই এই ভাতের হোটেলে যোগ দিয়েছিলেন মমতা গাঙ্গুলি তথা স্মার্ট দিদি নন্দিনী। নিজের সমস্ত সঞ্চয় আর দিনের বেশিরভাগ সময়টাই দিয়ে দিয়েছিলেন এই দোকানে। তবে নন্দিনীর ‘দোকান বন্ধ হওয়ার’ ভাইরাল ওই ভিডিওটিই এখন ভাবাচ্ছে নেটিজেনদের।