এবার টোকেন নিতে গিয়ে লাঠিপেটার শিকার হলেন সৌদি প্রবাসীরা। প্রতিদিনের মতো রোববার (০৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের সামনে ভিড় করেন তারা। এ সময় টোকেন নিতে ভেতরে ঢুকতে না পেরে হোটেল সোনারগাঁওয়ের গেট ভাঙচুর করেন সৌদিগামীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে দুপুর দেড়টার দিকে, ভিসার মেয়াদ বিবেচনায় দেড় হাজার টোকেন দেয়ার কথা জানায় সাউদিয়া এয়ারলাইন্স।
চাকরি বাঁচাতে যে কোনো মূল্যে টিকিট-টোকেন পেতে মরিয়া আটকেপড়া সৌদি প্রবাসীরা। বারবার আশ্বাসেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় ভেঙে গেছে সব ধৈর্যের বাধ। রোববার সাড়ে ৯টা নাগাদ ফটক ভেঙে প্রবেশ করেন টোকেনপ্রত্যাশীরা।
বিচারপতি সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আরও তিনজনের সাক্ষ্য
পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় আহত হন বেশ কয়েকজন।
৪ অক্টোবর নতুন করে টোকেন দেবে এবং এদিন ১০০ টিকিট দেয়ার কথা ছিল সৈদিয়া এয়ারলাইন্সের। আর টোকেন থাকাসাপেক্ষে সরবারহের কথা থাকলেও সব ভেস্তে যায় এমন অব্যবস্থাপনায়। বিশেষ করে এমন ধাক্কাধাকিতে বড় বিপদে পড়েন নারী প্রবাসীরা। একপর্যায়ে বন্ধ করে দেয়া হয় টিকিট আর টোকেন দেয়ার কাজ।
নানা আশ্বাস দিয়েও মানানো যাচ্ছে না মতিঝিলের বিমানের টিকিটের জন্য অপেক্ষারত প্রবাসীদের। যাদের ভিসার মেয়াদ বিবেচনায় টোকেন দেয়ার কথা থাকলেও সেখানেও তৈরি হচ্ছে নতুন সংকট।
তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে করোনায় দেশে আটকেপড়া সৌদি প্রবাসীদের ফেরত যাওয়া নিয়ে অচলাবস্থা চলছে।