কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মৃতপ্রায় খাল পুনঃখননের কাজ শুরু
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামে মৃতপ্রায় ৬ কিলোমিটার খাল পুনঃ খনন কাজ শুরু হয়েছে। এতে করে খালগুলো দিয়ে পানি প্রবাহ আবারো স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বোয়ালের দাঁড়া হতে মোয়ামারী হয়ে বেরুবাড়ী সুইচ গেট পর্যন্ত খাল পুনঃ খনন কাজ শুরু হয়েছে। ৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৬কিলোমিটার কাজ চলছে।
এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১কোটি ৫০লক্ষ টাকা। এ খাল পুনঃ খনন করা হলে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ও অতি বৃষ্টি-বন্যায় পানি নিষ্কাশনের পথ সুগম হবে, জলাবদ্ধ দূর হয়ে কৃষিজমি দ্রুত চাষাবাদের উপযোগী হয়ে উঠবে, সঞ্চিত পানি কৃষি জমিতে সেচ কাজের পাশাপাশি হাঁস ও মাছ চাষসহ গৃহস্থলী কাজে ব্যবহার করা হবে।
ভু-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে ও ভু-গর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে। দীর্ঘদিন ধরে খালগুলো অবৈধ দখল ও পলি পরে মজাভরে যাওয়া এ খাল খনন কাজ করায় খুশী স্থানীয়রা। স্থানীয় আব্দুল কাদের, আজিজ, নজরুল ইসলাম, শফি মিয়া, গফুর উদ্দিন বলেন, খাল পুনঃ খনন কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা থেকে আমরা রক্ষা পাবো। জমিতে সেচ দিয়ে ফসল চাষাবাদ করার পাশাপাশি হাঁস ও মাছ চাষ করাসহ বিভিন্ন উন্নতি হবে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নাগেশ্বরী উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী খাইরুল বাশার বলেন, দীর্ঘদিন থেকে খালগুলো পলি পরে মজাভরে যাওয়া এ খালপুনঃ খনন কাজ চলছে।
উধ্বতর্ন কতৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ তদারকি করছি। খনন শেষ হলে স্থানীয়রা অনেক সুবিধা পাবেন। নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহমেদ মাসুম বলেন, নাগেশ্বরী বোয়ালের দাঁড়া হতে মোয়ামারী হয়ে বেরুবাড়ী সুইচ গেট পর্যন্ত খাল পুনঃ খনন ৬কিলোমিটার কাজ চলছে।
আশা করছি এ খাল পুনঃ খনন শেষ হলে পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বৃষ্টি বন্যায় পানি নামতে পথ সুগম হবে। জলাবদ্ধ দূর হয়ে কৃষিজমি চাষাবাদের উপযোগী এবং সঞ্চিত পানি কৃষি জমিতে সেচ কাজ ব্যবহারিত হবে। স্থানীয়রা নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে।