খুলনা ঔষধ ব্যবসায়ী হত্যা: ৪ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন
- আপডেট সময় : ১২:৩১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১
- / ১১০২ বার পড়া হয়েছে
জেলা প্রতিনিধিঃ
খুলনার তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখ হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলা থেকে চারজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১৩জন আসামির মধ্যে একজন পলাতক ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে- ফরিদ মোল্লা, মিসবাহ মোল্লা, মোর্তজা মোল্লা ও টুটুল মোল্লা। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির হচ্ছেন- মুক্ত মোল্লা, শহিদুল শিকদার, সেলিম শিকদার, নাসির শিকদার ও মেহেদী মোল্লা।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে খালিদ মোল্লা, নাজমুল শিকদার, রাজা শেখ ও ওসমান ফকির। আসামিরা সবাই তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম ইলিয়াজ খান রায়ের এ তথ্যটি নিশ্চত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নির্মমভাবে খুন করা হয় তেরখাদার ঔষধ ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখ (৩৫)কে। ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট ঔষধের দোকান বন্ধ করে ভ্যান চালক আরিফ মোল্লাকে সাথে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রোজা উপলক্ষে মালামাল ক্রয়ের জন্য মুন্সী বাড়ির দক্ষিণ পাশে পৌঁছামাত্র তার পূর্ব পরিচিত সন্ত্রাসীরা তার উপর অতর্কিত হামলা করে।
সন্ত্রাসীরা দেশীয় তৈরি অস্ত্র দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে কুপিয়ে জখম করে। পরে ফিরোজ শেখ ও তাকে বহনকারী ভ্যান চালকের চিৎকারে পাশের লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। মারাত্মক জখম অবস্থায় তাকে প্রথমে তেরখাদা হাসপাতালে নেয়া হয়, পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৩টায় মারা যান।
পরবর্তীতে ওই ঘটনার তিনদিন পর নিহতের ভাই হিরু শেখ বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে তেরখাদা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৯।
২০১৩ সালের ১৬ জুন খুলনা সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক মিঠু রানী দাস ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

























