গোয়াইনঘাট সীমান্ত চোরাচালানীদের স্বর্গরাজ্য
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধিঃ
সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্ত চোরাচালানী ও বখরাবাজদের স্বর্গরাজ্য। সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে অবাঁধে আসছে ভারতীয় গরু মহিষ, চা-পাতা, চিনি, পান মসলা প্রভৃতি পণ্যের চালান। বিপরীতে যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে মূল্যবান পণ্য সামগ্রী ও বৈদেশিক মূদ্রা। দেশীয় উৎপাদনে উন্নতমানের চা-পাতা ক্ষতির সম্মুখীন। এমন অভিযোগ স্থানীয় জনগনের। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
সীমান্ত সূত্র থেকে প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশে গো-মাংস ও চিনির দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় গোয়াইনঘাট সীমান্ত হয়ে উঠেছে গরু, চা-পাতা ও চিনি চোরচালানের ট্রানজিট পয়েন্ট। সক্রিয় হয়ে ওঠেছে চোরাকারবারি ও বখরা সিন্ডিকেট।
অন্যদিকে চোরচালান নির্বিঘ্নে করার জন্য গোয়াইনঘাটে গড়ে ওঠেছে আরেকটি বখরা সিন্ডিকট। এই বখরা সিন্ডিকেটে রয়েছেন ৮ লাইনম্যান। তারা চোরকারবরিদের কাছ থেকে ভারতীয় গরু প্রতি ১হাজার টাকা করে বখরা আদায় করে থাকেন। চোরাইপথে আনা চিনির বস্তা প্রতি আদায় করেন ২শ’ টাকা করে।
চোরচালানের বিষয়ে নিউজ না করার জন্য সিন্ডিকেট প্রধান আব্দুল্লাহ এ প্রতিবদকের সাথে দেখা করার প্রস্তাব দিলে প্রতিবেদক তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার এসআই জহির ও এসআাই মিহির’র সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা বখরা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা উপরে বর্ণিত লাইনম্যানদের কাউকে চিনেন না বলেও জানান।
গোয়াইনঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মেহেদী হাসানের সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে সত্য-মিথ্য কোনো বক্তব্য না দিয়ে ফোনে শুধুমাত্র বখরাবাজদের নাম লিখে নেন।