চট্টগ্রামে বাসে ছিনতাইকারীর মূলহোতাসহ আটক-৩
আতিকুর রহমান/চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম মহানগরে বিভিন্ন বাসে ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতাসহ ৩ সদস্যকে দেশীয় এলজি ও অস্ত্রসহ আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি (উত্তর-দক্ষিণ) বিভাগ।
আজ রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে হালিশহর থানার আব্বাসপাড়া টোলরোডস্থ পাকা ব্রিজের নিচে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো, চট্টগ্রামের খুলশী থানার মতিঝর্ণা ৫নং গলির মোঃ রকি (২৮) ও কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার রঘুরামপুর এলাকার মোঃ সুজন (২৭)। বর্তমানে- হালিশহর থানাধীন আব্বাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রামের সদরঘাট থানাধীন বার কোয়ার্টার্স এলাকার মোঃ ভাবন প্রঃ রিপন (২১)।
এদিকে আজ রবিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় সিএমপি মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্স এর উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর/দক্ষিণ) এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তাদের আটকের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন, মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর-দক্ষিণ) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিএমপি হালিশহর থানাধীন আব্বাস পাড়া টোলরোডস্থ পাকা ব্রিজের নিচে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করা হয়। আটককালে তাদের হেফাজতে থাকা ডাকাতির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ১টি দেশীয় তৈরী একনালা বন্দুক, ২টি কার্তুজ, ১টি ধারালো ছোরা , ১টি কিরিছ, উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। ডাকাত দলের সাথে থাকা অন্যান্য আসামীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত দলের সদস্যরা জানায়, তারাসহ তাদের সাথে থাকা অন্যান্য পলাতক সদ্যসরা পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পনা মতে টোল রোড দিয়ে যাতায়াত করা বিভিন্ন গাড়ী’কে টাগের্ট করিয়া গাড়ীর মালামাল ও গাড়ীর যাত্রীদের মূল্যবান মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে সমবেত হয়েছিল। আসামীদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও সমবেত হওয়ার অপরাধে পেনাল কোডের ৩৯৯/৪০২ ধারাসহ ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(এ)/১৯(এফ) ধারায় পৃথক এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান সাংবাদিকদের বলেন, আসামীদের আরও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন সড়কে ও রুটে বাসের যাত্রীদের মূল্যবান মালামাল ডাকাতি করে আসছিল। আসামীদের বিরুদ্ধে সিএমপি হালিশহর থানার অস্ত্র আইনের ১৯(এ)/১৯(এফ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে সিএমপিসহ সমগ্র দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতা, মাদক ও ডাকাতির প্রস্তুতিসহ ১১টি মামলা বিভিন্ন সময় রুজুকৃত হয়েছে।