সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে খাগড়াছড়ির রামগড়ে নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার রাত আনুমানিক তিনটার দিকে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে লাশের পাশে থাকা ‘সুইসাইড নোট’ দেখে ধারণা করা হচ্ছে। আত্মহননকারী শিক্ষার্থীর নাম নাইমুল হাসান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইমুলের বাল্যবন্ধু আরমান মজুমদার জানান, আনুমানিক রাত তিনটার পরে নাইমুল নিজরুমে সিলিংফ্যানের সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, তার মা ফজরের নামাজ পড়তে উঠলে তার রুমে বাতি জ্বলতে দেখেন। সাধারণত তিনি বাতি জ্বালিয়ে ঘুমান না। এ সময় তাকে অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খুললে সকাল সাতটার দিকে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় রুমে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। আরমান বলেন, ‘সে কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিল।
হয়তো হতাশা থেকে সে এই পথ বেঁচে নিয়েছে। যেকোনো বিষয় সে গভীরভাবে চিন্তা করতো।’ নাইমুলের আরেক বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়র হোসেন রনি বলেন, নাইমুল খুব মেধাবী ছাত্র ছিল। সে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার স্বভাব শান্ত ছিল। এদিকে ওই শিক্ষার্থীর রুমে পাওয়া সুইসাইড নোটে নাইমুল লিখেন, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার বেঁচে থাকার জন্য কোন ইচ্ছা নেই।
তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। আমার জন্য কেহ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে মাফ করে দিয়েন।” নোটের শেষে ‘বিদায়’ উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, “এই দুনিয়া আমার জন্য নয়। সবাই পারলে আমাকে মাফ করে দেবেন। এ বিষয়ে রামগড় থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে এটাকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।