চুরির অভিযোগে হাত-পা বেঁধে বর্বরোচিত কায়দায় মারধর
হাবিব সরোয়ার আজাদঃ
চুরির অভিযোগে হাত-পা বেঁধে এক যুবক ও অপর এক কিশোরকে বর্বরোচিত কায়দায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে ! বৃহস্পতিবার ২৩ফেব্রুয়ারী) বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরের বাদাঘাট ইউনিয়নের পাঠানপাড়া নদী তীরে কয়েক শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য দাবিদার মুহিত চৌধুরী ও তার কয়েকজন সহযোগি।
বর্বোরিচিত কায়দায় মারধরের শিকার হলেন উপজেলার কোনাট ছড়া গ্রামের ওয়াহেদ মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (২৫) একই গ্রামের ফজর আলীর কিশোর ছেলে খুর্শীদ মিয়া। মারধরের মুখে আহত অবস্থায় আবু বক্করকে বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাঁতে আহত যুবক ও কিশোররের পারিবারীক সুত্র জানায়, উপজেলার পাঠান পাড়া গ্রামের মুহিত চৌধুরী ও তার কয়েকজন সহযোগি সংঘবদ্ধ হয়ে বিকেলে পার্শবর্তী গ্রামের যুবক আবু বক্কর ও কিশোর খুশীদ মিয়াকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান।
এরপর নৌকা থেকে ব্যাটারী, সোলারসহ নানা সামগ্রী চুরির অভিযোগ তোলা হয় যুবক ও কিশোরের বিরুদ্ধে।
এক পর্যায়ে চোরাই মালামাল উদ্ধার ও চুরির স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য পাঠান পাড়া গ্রামের সামনে নদী তীরে যুবক, কিশোরকে হাত-পা বেঁধে বর্বরোচিত কায়দায় লাঠি দিয়ে দফায় দফায় পেটাতে থাকেন এবং দুই পায়ের মধ্য দিয়ে লাঠি ঢুকিয়ে আকাশমুখী করে আরো কয়েক দফা পেটাতে থাকেন মুহিত ও তার সহযোগিরা।
বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে উপজেলার পাঠান পাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান চৌধুরীর ছেলে মুহিত চৌধুরী নিজেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুলের ব্যাক্তিগত সহকারি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য দাবি করে বলেন, আমি এলাকার নেতা, চুরির মালামাল উদ্ধার ও স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য কিছুটা মারধর করতে বাধ্য হয়েছি। চুরির ঘটনায় থানা পুলিশকে জানানো কিংবা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছিলো কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন রকম সদুক্তর দিতে পারেননি।
তাহিরপর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, যুবক ও কিশোরকে হাত-পা বেঁধে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত মুহিত ও তার সহযোগিদের গ্রেফতার করে দ্রত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।