ঠান্ডায় বাড়ছে শিশু রোগী, হাসপাতালে শয্যা সংকট
আব্দুল্লাহ আজাদ/ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
দেশের উত্তরের জনপদ ঠাকুরগাঁওয়ে ক্রমেই বাড়ছে শীত। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও দেখা মিলছে না সূর্যের। সূর্যের দেখা না মেলায় বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে ছোট্ট শিশুরা। আক্রান্ত হচ্ছে নিউমনিয়া, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে। এনিয়ে উব্দিগ্ন অভিবাকরা সেই সাথে চাপ বাড়ছে হাসপাতলগুলোতে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি ) হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শিশু ওয়ার্ডে রোগির উপচেপড়া ভিড় এবং একই শয্যায় দুয়ের অধিক শিশুরোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় মেঝেতেও অনেক রোগীকে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তথ্যমতে, হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা মাত্র ৫০টি। বর্তমানে শিশু বিভাগে ভর্তি রয়েছেন ১৮৫ জন শিশু। তাদের মধ্যে অন্তত ৭১ জন শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
এছাড়াও, গত এক মাসে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে অপরিপক্ব শিশু রয়েছে ১৩ জন, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দুইজন, হার্টের সমস্যা নিয়ে একজন ও খিচুনিসহ জ্বর নিয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র স্টার্ফ নার্স শিল্পী আখতার বলেন, ১৫ জন নার্স ও তিনজন চিকিৎসক দিয়ে প্রতিদিন ১৮০ থেকে ২০০জন শিশু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে ৪৫ শয্যার বিপরীতে ১০০ জনের বেশি নতুন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। বিপুলসংখ্যক রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেজ্ঞ ডা. সাজ্জাদ হায়দার শাহীন বলেন, শীতের এ সময়ে ভাইরাসের প্রবণতা বেড়ে যায়। যার ফলে শিশুরা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কম বলে তারা সহজে আক্রান্ত হচ্ছে। ঠান্ডাজনিত রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে শিশুদের পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি ধুলাবালি এড়িয়ে চলতে হবে। আর প্রয়োজনীয় সব টিকা দিতে হবে। সেই সঙ্গে শিশুর শরীর ঘামলে তা মুছিয়ে দেওয়া এবং যাতে ঠান্ডা না লাগে সে ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে।