নিরাপত্তার আশ্বাসে মার্কিন দূতাবাস ছাড়লেন এমরান। সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে একটি ধূসর গাড়িতে করে দূতাবাসের পেছনের গেট দিয়ে সপরিবারে বেরিয়ে যান এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাড়ে তিন ঘণ্টা অবস্থানের পর মার্কিন দূতাবাস ছেড়েছেন সদ্য সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে এমরান তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে দূতাবাস থেকে বাসার উদ্দেশে বের হন।
এমরান সাংবাদিকদের জানান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যের পর তাঁর মনে হয়েছিল তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এ জন্য তিনি দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
দূতাবাস থেকে বাড়ি ফেরার পর এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘বিকেলে দূতাবাসে যাওয়ার পর সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা আমার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। দূতাবাস থেকে ফেরার পথে আমার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যও পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার পর বাসায় চলে এসেছি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, তিনি বাসার উদ্দেশে গুলশানের মার্কিন দূতাবাস ছেড়েছেন বলে জেনেছি। নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বিকেল ৪টার একটু আগে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া দূতাবাসে পৌঁছান। তিনি লালমাটিয়া ‘সি’ ব্লকের তাঁর বাসার উদ্দেশে চলে গেছেন। এর আগে বিকেল ৪টা থেকে সপরিবারে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে মার্কিন দূতাবাসে অবস্থান নিয়েছিলেন।
দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া বার্তায় এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, আমি মার্কিন দূতাবাসে আজকে পুরো পরিবারসহ আশ্রয়ের জন্য বসে আছি। বাইরে পুলিশ। আজকে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমার ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গত চার-পাঁচ দিন যাবৎ অনবরত হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার ভালোবাসার প্রতিদান দেয় জেল দিয়ে। আমার আমেরিকার কোনো ভিসা নেই। স্রেফ তিনটা ব্যাগে এক কাপড়ে আমার তিন মেয়েসহ কোনোক্রমে বাসা থেকে বের হয়ে এখানে বসে আছি। দোয়া করবেন আমাদের জন্য।