প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের দায়ে যুবক আটক
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নড়াইল জেলার কালিয়ায় প্রথম শ্রেণি এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার দুই দিন পর ধর্ষকের পরিচয় মিলেছে। সন্দেহভাজনের ছবি দেখে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করে ওই শিশু। ধর্ষকের নাম মোঃ সামিরুল শেখ (২২)।
গতকাল রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শিশুর মা বাদী হয়ে সামিরুলকে আসামি করে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছিলো। সামিরুল উপজেলার কলামনখালি গ্রামের আহম্মদ শেখের ছেলে।
মামলা দায়েরের পর গতকাল রোববার রাতে র্যাব-৬ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে তার গ্রামের একটি বাড়ি থেকে আটক করে কালিয়া থানায় সোপর্দ করেছে।
পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার সকালে শিশুটির মা তাকে বাড়িতে রেখে কাজে বেরিয়ে যান। অনেক সময় পার হলেও মা ফিরে না আসায় মেয়েটি মাকে খুজতে সকাল ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয় শিশুটি। এসময় গ্রামের রাস্তার কলামনখালি নামক স্থানে গেলে নির্জনে একা পেয়ে তাকে তুলে নিয়ে রাস্তার পাশে বাঁশ বাগানের মধ্যে ফেলে ধর্ষণ করে সামিরুল।
পরে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ঝোপের মধ্যে শিশুটির কান্না শুনে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দিলে প্রথমে তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিকেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কালিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে প্রেরণ করেন।
চিকিৎসা শেষে শিশুটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও সে ধর্ষকের নাম-ঠিকানা বলতে না পারায় সন্দেহভাজন কয়েকজনের ছবি দেখানো হলে সে সামিরুলকে শনাক্ত করে। মামলা দায়েরের পর রাতে র্যাব-৬ এর একটি দল কলামনখালি গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে কালিয়া থানায় হস্তান্তর করে।
কালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ রতনুজ্জামান বলেন, আটককে সোমবার নড়াইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।