ফরিদপুরে এফবি লাইফে এসে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
কারো বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোগ নেই। দাদা আমাদের বাবা মা আর আমার সন্তানকে দেখিস-এমন বিবৃতি দিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিথী রায় (৩৩) নামে এক গৃহবধূ। ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়ার আগে বলে যান, কারো বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের চর লাওজানা গ্রামে। রাজবাড়ীর কালুখালী থেকে ছেড়ে আসা লোকাল ট্রেনের নিচে তিনি ঝাঁপ দেন। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, নিহত তিথি রায় বালিকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নটাপাড়া গ্রামের ক্ষুদেরাম বসুর মেয়ে। রাজবাড়ী সদর উপজেলা মূলঘর ইউনিয়নের মাশালে গ্রামের প্রভাস রায়ের স্ত্রী। তার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
তিথি রায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়ার ৩০ মিনিট আগে দুপুরে নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণে করার সময় কান্নাজড়িত কন্ঠে ভাইকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দাদা কারো প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমার মৃত্যুর কারণ আমি নিজেই দাদা। তুমি আমার বাবা-মা ও আমার মেয়েদেরকে দেখে রেখো। এভাবেই নিজের জীবন কে চলন্ত রেলগাড়ীর নীচে সপে দেন বাংলার এক গৃহবধূ তিথি রায়।
স্থানীয়রা জানায়, কালুখালী থেকে ভাটিয়াপাড়াগামী লোকাল ট্রেনটি জামালপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসার পর চর লাওজানা গ্রামে ফাঁকা মাঠের কাছ পৌঁছালে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিথে রায়। রেলগাড়ীর সামনে দাড়ানো এজকজন নারীর ওই দৃশ্য রেলগাড়ীর অনেক যাত্রীই দেখেছেন।
তিথীর দেবর সঞ্জয় জোয়ার্দ্দার বলেন, বাবার বাড়ি নটাপাড়া মেয়েদের নিয়ে কয়েকদিন আগে তিনি বেড়াতে এসেছেন। তিথির মৃত্যুর ঘটনা শুনে এখানে এসেছি। তবে আত্মহত্যার পিছনে কি ঘটনা তার জানা নেই। তিথী বড় ভালো মনের মানুষ ছিলেন বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা পুলিশের এসআই বিধান চন্দ্র মল্লিক বলেন, রেলের নীচে কাটাপড়া নারীর লাশ উদ্ধারের পর ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।