ফরিদপুরে শিক্ষার্থীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
এবার ছাত্রের সাথে অশ্লীল আচরণ অতঃপর তার লজ্জা স্থানে আঘাত করার সময় জনৈক ছাত্র দেখে ফেলায় সাত বছরের ছাত্রকে গলাটিপে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে একই মাদরাসার একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ইমান আলী মোল্লা। তার বয়স ৭ বছর।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী পৌর সদরের পূর্ব-গাড়াখোলা মোহাম্মদিয়া আছিয়া মাদ্রাসায়। শিশু ছাত্রকে গলাটিপে হত্যা করে পালানোর সময় মধুখালী থানা পুলিশ আটক করেছে শিকক হেদায়েতুল্লাহ ও অপর এক ছাত্রকে।
নিহত শিক্ষার্থী মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের সমসকান্দি গ্রামের হৃদয় মোল্লার ছেলে। শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহ নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার পিরের চর গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলে। গত দুই সপ্তাহ আগে ওই মাদ্রাসায় অস্থায়ী ভিত্তিতে তিনি যোগদান করেছেন।
পুলিশ ও মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, মাদরাসার কোন এক ছাত্রের সাথে অশ্লীল আচরণ করার সময় ইমান মোল্লা নামের শিশুটি ঘটনাটি দেখে ফেললে এসব কথা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন শিক্ষক। কিন্ত ঘাতক শিক্ষকের মনে সংশয় ছিল।
এমন ভয়ে অন্য ছাত্ররা যখন সবাই ঘুমিয়ে তখন সকলের ঘুম থেকে উঠার আগেই সকালের কোনো এক সময় শিশু ইমান আলীকে গলাটিপে হত্যা করে মাদ্রাসা থেকে হোসাইন নামের বার বছরের অপর এক ছাত্রকে সাথে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এমতাবস্থায় মাদরাসার ছাত্ররা ঘুম থেকে উঠে ইমান আলী মোল্লার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে শিক্ষকদের জানান। পরে মাদরাসা থেকে খবর পেয়ে মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ফোর্সসহ উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাছকান্দি বাসস্টান্ড হতে শিক্ষককে সঙ্গীয় ছাত্রসহ আটক করে।
মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা সামসুল হক দৈনিক আস্থাকে জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়। তাকে সাবধান করে বলা হয় ছাত্রদের সাথে যে কোন বিষয়ে কোনরুপ খারাপ আচরণ করা যাবে না। কিন্তু মাদরাসায় এমন ঘটনা বড় পরিতাপের বিষয়।
মধুখালী থানার ওসি মোঃশহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ওই শিক্ষককে উপজেলার মাঝকান্দি থেকে আটক করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান।