DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশুক্রবার ১৭ই মে ২০২৪
ঢাকাশুক্রবার ১৭ই মে ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

বহুমাত্রিক অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের জন্মদিন

Abdullah
অক্টোবর ৩১, ২০২৩ ৩:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বহুমাত্রিক অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের জন্মদিন

বিনোদন ডেস্কঃ

একজন বহুমাত্রিক সংস্কৃতজন বলতে যা বোঝায় দেশের বরেণ্য অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর ঠিক তাই। তিনি একাধারে অভিনেতা, আবৃত্তিকার, চলচ্চিত্র অভিনেতা, নাট্যজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা পুরুষের মধ্যে অন্যমত।

নন্দিত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর যে অঙ্গনেই পদচারণা করেছেন, সে অঙ্গনের প্রান্তসীমা ছুঁয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। হয়েছেন সবার প্রিয়জন, আসন কেড়েছেন সবার মধ্যমণি হিসেবে। অনেক গুণের অধিকারী আসাদুজ্জামান নূর তার একাধিক পরিচয় ছাপিয়ে অভিনেতা হিসেবেই বুঝি পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করেন। তাছাড়া ‘আসাদুজ্জামান নূর’ এ নামটি উচ্চারণের সঙ্গে তার অনুরাগীদের মানসপটে অভিনেতা হিসেবেই চিত্রিত হন।

দেশের সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত জেলা নীলফামারী। এখানেই জন্মেছেন অভিনয় ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। দেশ, মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। যুদ্ধ থেকে ফিরে তিনি মনোনিবেশ করেন আপন ভুবনে। ধীরে ধীরে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন।

১৯৪৬ সালের ৩১ অক্টোবর জন্ম নেওয়া আসাদুজ্জামান নূরের জীবন নানা বৈচিত্রে ভরপুর। কলেজ জীবনেই তিনি রাজনীতির পাঠ গ্রহণ করে জীবনের আদর্শ স্থির করেছেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি মনোযোগী ছিলেন সাংগঠনিক কাজকর্ম নিয়ে। ছাত্রজীবনেই অনুধাবন করেছেন- এ দেশের স্বাধীনতার জন্য, মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে রাজনীতির হাজারো কূট-কৌশলের মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে। সত্য ও ন্যায়ের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে জীবন বাজি রাখতে হবে।

আসাদুজ্জামান নূর ছাত্রজীবনেই আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। বায়ান্ন, বাষট্টি, ঊনসত্তর, একাত্তর-দেশের সব ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে, রাজনৈতিক গতিধারায় তিনি অসীম প্রজ্ঞা আর সাহস নিয়ে দাঁড়িয়েছেন এ অভিনেতা। লড়ে গেছেন বীরের বেশে।

আসাদুজ্জামান নূর ১৯৭২ সালে সাপ্তাহিক চিত্রালীতে কাজ করার মধ্য দিয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার অধীনে ছাপাখানার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে সোভিয়েত দূতাবাসের (বর্তমানে রাশিয়া) প্রেস রিলেশন অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভারটাইজিং লিমিটেডে সাধারণ ব্যবস্থাপক পদে কাজ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সদস্য, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য ও বাংলাদেশ রাশিয়া মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

নব্বইয়ের দশকে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে ‘বাকের ভাই’ চরিত্রে রূপ দান করে দেশব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন নূর। দেশ টিভিতে প্রচারিত ‘কে হতে চায় কোটিপতি’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনার দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

নূরের অভিনয় জীবনের সূচনা থিয়েটার থেকে। ১৯৭২ সাল থেকে তিনি নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে জড়িত হন। সে সময়ে তিনি ‘চিত্রালী’র অভ্যর্থনাকারী ছিলেন এবং বিখ্যাত অভিনেতাদের সাক্ষাৎকার নিতে যেতেন। এভাবেই তিনি আলী জাকেরের সঙ্গে দেখা করেন, যিনি ছিলেন নাগরিক সম্প্রদায়ের।

নিজের পরিচালনায় নূর ৫০টিরও বেশি বিজ্ঞাপনচিত্র ও ভিডিও ছবি নির্মাণ করেন। টেলিভিশনে তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘এইসব দিনরাত্রি (১৯৮৫)’, ‘অয়োময় (১৯৮৮)’, ‘কোথাও কেউ নেই (১৯৯০)’, ‘আজ রবিবার (১৯৯৯)’ ও ‘সমুদ্র বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড (১৯৯৯)’।

নূরের বেতারে প্রচারিত নাটকের সংখ্যা ৫০ এরও বেশি। টেলিভিশনের পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো শঙ্খনীল কারাগার (১৯৯২) ও আগুনের পরশমণি (১৯৯৪)। সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য ২০১৮ সালে নূর স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। অসম্ভব আত্মপ্রত্যয়ী মানবতাবাদী মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন এ অভিনেতা। আজ তিনি ৭৮ বছরে পা দিচ্ছেন। জন্মদিনে তার তাকে শুভেচ্ছা।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৩:৫০
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৩৭
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৩:৫৫
  • ১১:৫৮
  • ৪:৩২
  • ৬:৩৭
  • ৮:০০
  • ৫:১৬