মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারায় ইমাদ পরিবহনের বাসটি। পরে রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ১৭ জন মারা গেছেন। আর হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
রোববার (১৯ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় খুলনা থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাস খাদে পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ১৭ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঢামেকে নেওয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে আটজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পরিবার-পরিকল্পনার ডিডি অনাদি রঞ্জন মজুমদার, গোপালগঞ্জ সদরের এমরান আলীর ছেলে সজীব, পাচুরিয়া গ্রামের মো. মাসুদের মেয়ে সুইটি আক্তার (১২), বনগ্রামের সামসুল শেখের ছেলে মোস্তাক আহমেদ, মুকসুদপুর উপজেলার আমজেদ শেখের ছেলে মাসুদ (৩২), খুলনার সোনাডাঙার শেখ আহম্মেদ আলীর ছেলে শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার সৈয়দ মুরাদ আলীর ছেলে সৈয়দ ইসমাইল (৩৮) ও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনার বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার।